মালালা ইউসুফজাই ১৯৯৭ সালের ১২ জুলাই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলায় পশতুন জাতিগোষ্ঠীর এক সুন্নি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন, মা তূর, ছোট ভাই অটল ও খুশল নিয়ে তার পরিবার।
পাকিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত সোয়াত উপত্যকার মিঙ্গোরা শহরে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
২০১২ সালে বাসে স্কুল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একজন তালেবান বন্দুকধারী তাকে এবং দুই সহপাঠীকে গুলি করে।
তখন ১১ বছর বসয়ী মালালা মেয়েদের অধিকারের জন্য প্রচারণা শুরু করেন। পিতা জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে শিশুদের জন্য কাজ করতে মিলে গঠন করেন মালালা তহবিল।
২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর শিশুদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে ও শিক্ষার অধিকারের লড়াইয়ের জন্য মালালা ইউসুফজাইকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়। মাত্র ১৭ বছরে মালালা এই পুরস্কারলাভের সময় বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীর সম্মান লাভ করেন।
এছাড়া তার ১৬ তম জন্মদিনে জাতিসংঘের যুব সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন এবং বিশ্বজুড়ে পরিবর্তনের জন্য তার মতামত ব্যক্ত করেছেন।
মালালার নামে জাতিসংঘ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক দিবস রয়েছে।
২০১৩ সালের ১২ জুলাই তার ১৬ তম জন্মদিনে ‘মালালা দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
২০১৩ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফাস্ট লেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে দেখার করার জন্য হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই।
২০১৮ সালে নিজ দেশ পাকিস্তানে ফেরেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর মালালা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা আসার মালিককে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার সনদ হাতে পেয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
দেড় বছর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ২৪ বছর বয়সী মালালা।
২০২০ সালের মে মাসে অক্সফোর্ডে মালালাদের এ সনদ প্রদান অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় তা স্থগিত করা হয়।