স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল সিকিউরিটি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিগ ডাটা, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অফ থিংস বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত করতে একটি গাইডলাইন তৈরি করছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও  স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কারিকুলামে ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তি, বিশেষায়িত প্রোগ্রাম ও প্রশিক্ষণ চালু করতে এই গাইডলাইন বেশ সহায়ক হবে বলে মনে করে ইউজিসি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গঠিত কমিটির ১ম সভা মঙ্গলবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গাইডলাইনের খসড়া দ্রুত চূড়ান্ত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

ইউজিসি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দিন মিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম, আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য  প্রফেসর শামীম আরা হাসান এর প্রতিনিধি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর বুলবুল আহমেদ, ইউজিসি’র আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, আইএমসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক তাহমিনা রহমান, উপপরিচালক নুসরাত শারিতা ও সহকারী পরিচালক খন্দকার সাহাবাত রিজভী কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অভিজ্ঞ জনশক্তি তৈরির জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল সিকিউরিটি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, বিগ ডাটা, ব্লকচেইন, রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অফ থিংস ইত্যাদি আধুনিক প্রযুক্তিসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত করতে একটি গাইডলাইন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বেশ সহায়ক হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা এবং একটি দক্ষ ও আত্মনির্ভর জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কারিকুলামে ইমার্জেন্ট টেকনোলজিসমূহ যুক্ত করে এর প্রায়োগিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ড. সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ডিজিটালাইজেশন, উদ্ভাবন ও গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে আধুনিক এসব প্রযুক্তি যুক্ত করা গেলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে এবং বিদেশে এসব জনশক্তি রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জনবল গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে যুক্ত করতে প্রণিতব্য গাইডলাইনটির খসড়া চলতি মাসে চূড়ান্ত করা এবং অংশীজনদের নিয়ে শীগ্রই একটি কর্মশালা আয়োজন করা হবে। গাইডলাইনটি আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে