‘ইউনিভার্সিটি এক্টিভেশন বা ‘ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইন’ বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) সামিট বাংলাদেশ ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে বাক্কো (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং) কর্তৃক আয়োজিত রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গ্রিন রোডে অবস্থিত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ‘দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক , সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্রের নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শামীম আরা হাসান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান কামাল, প্রাক্তন ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর আল-আমিন মোল্লা। সেমিনারে কী নোট স্পীকার ছিলেন ফিফোটেকের অপারেশন্স স্পেশালিস্ট মানজার হোসেন। সেমিনারে রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদাসহ ইউনিভার্সিটির সব বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, লাইব্রেরিয়ান, শিক্ষকমন্ডলী, মিডিয়ার প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ব্যবসায় অনুষদের ডীন প্রফেসর আবুল কালাম।

সেমিনারের প্রধান অতিথি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শামীম আরা হাসান শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেয়ার জন্য বাক্কোসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

প্রফেসর শামীম আরা হাসান আরো বলেন, আজকের অনুষ্ঠানটি হলো ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে কীভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে, তার ভূমিকা টানেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যে খাত বা শিল্পে আমরা ক্যারিয়ার তৈরির কথা বলছি, সে খাত বা শিল্পে ফ্রিল্যান্সিং বা দক্ষতা ছাড়া এ খাতে নিজেকে সম্পৃক্ত করা যাবে না। এ ছাড়া অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে অনেকগুলো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় জড়িত রয়েছে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বলতে তিনি শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি, বাক্কো এবং রাষ্ট্রের স্বার্থের কথা বলেন। শিক্ষার্থীর স্বার্থ হলো ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে আয়ের পথ তৈরি করা, ইউনিভার্সিটির স্বার্থ হলো শিক্ষার্থীদের পেশাগত বিষয়ে নলেজ শেয়ার করা সুযোগ তৈরি করে দেয়া, বাক্কো-এর স্বার্থ হলো বেকার তরুণ-তরুণীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে কর্মসংস্থানের পথ দেখানোর জন্য সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এবং রাষ্ট্রের স্বার্থ হলো বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় আসীন করা। বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করা। আজকে বাক্কো কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং বিষয়ক কর্মশালা এবং সিভি সংগ্রহ এবং চাকরি মেলা বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

এ সময় প্রফেসর শামীম আরা হাসান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাদের নিজেদের আয়ের পথ তৈরি করাসহ, উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ জানান। যাতে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্য অর্জিত হয়। সেই সাথে তিনি বাক্কো’কে এ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যাতে ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে তাদের দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া এবং প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে লিংক তৈরি করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

সেমিনারের কী নোট স্পীকার ফিফোটেকের অপারেশন্স স্পেশালিস্ট মানজার হোসেন এ ধরনের কর্মশালা করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)-তে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ফ্রি কোর্স করার সুযোগের ঘোষণা দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে