এডিস মশার বিস্তার ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের অধীন সব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য এক গুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে। গত ১৬ জুলাই অধিদপ্তরের এক চিঠিতে বলা হয়, দেশে এডিস মশার বিস্তার এবং এর মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবার সচেতন, সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

নির্দেশনাসমূহ : ১. অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশেপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে (যেমন- প্রতিষ্ঠানের ছাদ, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব, বাগান, নালা, পানির ট্যাপের আশেপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার স্থান, পানির বদনা, বালতি, হাইকমোড, আইসক্রিম বক্স, প্লাস্টিক বক্স, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, টায়ার ইত্যাদি) সে সব জায়গা চিহ্নিত করে এক দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে।

২. অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস অথবা উল্টে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে।

৩. অব্যবহৃত হাই কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে। লো-কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা বা অন্য কিছু নিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।

৪. কোনো জায়গায় জমা পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে।

৫. দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

৬. ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৭. ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকতে হবে।

৮. শিক্ষার্থীদের প্রত্যহ ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়সমূহ অবহিত করতে হবে।

এই অবস্থায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে উল্লিখিত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ রাখতে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ মামুনুল আলমের স্বাক্ষর করা নির্দেশনাটি প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে