গুচ্ছে থাকছে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবারও থাকছে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ। গত ১৬ এপ্রিল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্যদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

উপাচার্য বলেন, রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুযায়ী ২২ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখও চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভার কারণে গুচ্ছের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাতে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। আগামীকাল (১৮ এপ্রিল) পত্রিকায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, আগে ১৫ এপ্রিল থেকে ভর্তি আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এটি পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে অনলাইনে ভর্তি আবেদন শুরু হয়ে চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এছাড়া ৩ জুনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করা হবে। উপাচার্য বলেন, আগামী ২০ মে মানবিক বিভাগ, ২৭ মে বিজ্ঞান বিভাগ ও ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৮ জুনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, গুচ্ছে সেকেন্ড টাইম থাকবে। তবে আবেদনের ক্ষেত্রে কোন বিভাগের জন্য কত পয়েন্ট এবং বিভাগভিত্তিক আবেদন ফি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। আগামী সভায় বাকি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে গুচ্ছের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সাধারণ সভা করব। যেহেতু রাষ্ট্রপতি একটি আদেশ দিয়েছেন তাই সভায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আমার একার সিদ্ধান্তে তো কিছু হবে না, সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক যেটাতে মত দেবেন সেটাই হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের পরবর্তী সভায় আমরা বিষয়টি আলোচনা করব।

ইউজিসি সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত সবাই মানতে বাধ্য। এর আগে তারা যদি কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকে তবে সেটা এখন আর কার্যকর হবে না। ভর্তি কার্যক্রম বিগত বছরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই পরিচালনা করবে, ইউজিসি সার্বিক বিষয়গুলো দেখবে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপনে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে থাকার আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলরের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিগত সময়ে যে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত ছিল তাদের অংশগ্রহণে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে