যৌন হয়রানি, ইভটিজিং, র‌্যাগিং, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপ্লায়েন্ট কমিটি টু প্রিভেন্ট সেক্সচ্যুয়াল হ্যারেসমেন্ট-এর উদ্যোগে “যৌন হয়রানিকে না বলুন, চুপ না থেকে শক্তিশালী হোন” শিরোনামে গত ৮ এপ্রিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি, বিরুলিয়া সাভারের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্স) পুলিশ সুপার মাহফুজা লিজা, বিপিএম এবং চিকিৎসক, পরামর্শদাতা, সাইকোথেরাপি অনুশীলনকারী ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. সানজিদা শাহরিয়াহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কমপ্লায়েন্ট কমিটি টু প্রিভেন্ট সেক্সচ্যুয়াল হ্যারেজমেন্ট এর চেয়ারপারসন ও ডেপুটি প্রক্টর ড. শরিফা সুলতানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. ফৌজিয়া মোসলেম বলেন, যৌন হয়রানি এবং নারীর প্রতি সহিংসতা একটি ভাইরাস। এটি আমাদের সমাজ থেকে দূর করতে হবে। আামদের মধ্যে সমস্যা নারী বা পুরুষ নয় বরং আমরা যেই সমাজ কাঠামোর মধ্য বসবাস করছি সেটা। তাই পরিবার থেকে শুরু করে যুদ্ধক্ষেত্র পর্যন্ত সর্বত্রই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সানজিদা শাহরিয়াহ বলেন সেক্সচ্যুয়াল হ্যারেসমেন্ট হলো অগ্রহণযোগ্য যৌন আচরন। ইদানিং অনলাইন এবং অফলাইনে এ ধরনের সমস্যা প্রচুর হচ্ছে। সেক্সচ্যুয়াল হ্যারেজমেন্টের মাধমে নারীদের কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে দমিয়ে রাখার প্রচেষ্ঠা হচ্ছে। এখান থেকে আমাদের উত্তরণের পথ তৈরি করতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারদের ব্যপারেও আমাদের সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা অত্যান্ত জরুরী। মিসেস মাহফুজা লিজা বলেন, প্রোফাইল হ্যাকিং, সাইবার বুলিং, ফটো মরফিংসহ নানা পদ্ধতিতে অপরাধীরা যৌন হয়রানি শুরু করতে পারে। এসব বিষয়ে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। তিনি কিভাবে শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং-এর মাধ্যমে সেক্সচ্যুয়াল হ্যারেজমেন্ট থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় এ ব্যাপারে বিশদ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. শরিফা সুলতানা বলেন, অনেক সময় আমরা সেক্সচ্যুয়াল হ্যারেসমেন্টের কথা প্রকাশ করতে চাই না। তাই সবার কাছে অনুরোধ কখনো এই ধরনের সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটিকে অবহিত করতে হবে। প্রত্যেককে যার যার জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এ এম এম হামিদুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. শেখ মো. আল্ল্যাইয়ার, প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান, পরিচালক, স্টুডেন্ট এ্যাফেয়াস ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. লিজা শারমির্ন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে