নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ প্রোজেক্ট হিসেবে এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’। গত ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় মাঝরাতে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল এরোনটিকস এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন’ সংক্ষেপে নাসা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে সরাসরি সারাবিশ্বে এটি প্রচারিত হয়।

টিম ডায়মন্ডসের সদস্য হিসেবে ছিলেন টিসা খন্দকার (টিম লিডার), মুনিম আহমেদ (সিস্টেম ডিজাইনার), ইঞ্জামামুল হক সনেট (সিস্টেম আর্কিটেক্ট), আবু নিয়াজ (সিস্টেম ডেভেলপার) ও জারিন চৌধুরী (রিসার্চার) এবং উপদেষ্টা ছিলেন প্রফেসর ড. তৌহিদ ভূইয়া ও মেন্টর সহযোগী অধ্যাপক খালিদ সোহেল।

এটি নাসা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি আন্তর্জাতিক হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২ এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া শেষে আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়া জন্য এ বছর গ্লোবাল নমিনেশন পেয়েছিল বিশ্বের ৪২০টি দল। পরিশেষে, মাত্র ৩৫ টি টিম “গ্লোবাল ফাইনালিস্ট” হিসেবে জায়গা করে নেয়। ৩৫ টি দলের এই তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশী দল হিসেবে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২-এর  গ্লোবাল ফাইনালিস্টে জায়গা করে নেয় “টিম ডায়মন্ডস”। বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)’।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২-এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে “টিম ডায়মন্ডস” গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা কাজ করেছে বাচ্চাদের নিয়ে যাতে তারা ছোট বেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে ভাবতে পারে, মহাকাশের অজানা সব তথ্য সম্পর্কে খুব সহজে জানতে পারে। মহাকাশে থাকা অজস্র নক্ষত্র, এদের পরিবর্তন সাধারণত খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না কারণ এই পরিবর্তনগুলি খুব ধীর বা চোখের জন্য খুব ক্ষীণ হয়। তাদের চ্যালেঞ্জের মুল বিষয়বস্তু ছিল নাক্ষত্রিক এই পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে মানুষকে শেখানো ও তাদের বুঝতে সাহায্য করা যে রাতের আকাশ আসলে কতটা গতিশীল।

বিজয়ী দলের প্রজেক্ট “Diamond In The Sky” একটি ইন্টারেক্টিভ গেম ভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়্যারম্যান ড. মো: সবুর খান ও উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান টিম ডায়মন্ডস দলের সদস্যদের সাফল্যে তাদেরকে অভিনন্দন জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে