ফুটবল ম্যাচের পর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে সংঘর্ষ ও পদদালিত হয়ে এ পর্যন্ত ১৭৪ জন নিহত এবং আরও ১৮০ জন আহত হয়েছেন। খেলার ম্যাচগুলোতে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। এই ঘটনার পর ফুটবল ম্যাচগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। কী ঘটেছিল কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে? ইন্দোনেশিয়ার প্রধান নিরাপত্তামন্ত্রী মাহফুদ এমডি জানান গত ১ অক্টোবর রাতে ওই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। ওই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৮ হাজার হলেও সেখানে ১ অক্টোবর রাতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৪২ হাজার দর্শক। মর্মান্তিক এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়ার ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকরা ঢুকে পড়েন মাঠে। ফুটবল মাঠে সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রচেষ্টা চালায়। ম্যাচ শেষে মাঠে ঢুকছেন আরোমের সমর্থকেরা। এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়তে শুরু করে। এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এবং দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানায় পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিনতা।

পুলিশ প্রধান আরো বলেন, “চৌত্রিশ জন স্টেডিয়ামের ভেতরে এবং বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন।” পুলিশ প্রধান আরও জানান, সবাই একটি পয়েন্ট দিয়েই বের হওয়ার চেষ্টা করে। ফলে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে অক্সিজেনের একপর্যায়ে তারা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, প্রাণহীন দেহগুলো ফ্লোরে পড়ে আছে। ঘটনাটির পর দেশটির শীর্ষ ফুটবল লিগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

এই ঘটনার তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানায়, খেলার ম্যাচগুলোতে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা উচিত নয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে