তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতা মূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গত ২১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ৫০০০টি ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. নাদির বিন আলীর সভাপতিত্বে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই  মঞ্জুরুল আলম জুয়েল প্রধান অতিথি হিসাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের মানব সম্পদ বিভাগের পিপলস একুইজিশন বিভাগের প্রধান মো: রিয়াদ হোসেইন, সংগঠন উন্নয়ন বিভাগের প্রধান অনুভব রহমান ও টেলিটকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই ফারুক হোসেন পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিসিটির পরিচালক (হিসাব ও অর্থ) হামিদুল হক খান ও প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো: আবুল হোসেন।

উল্লেখ্য সামার-২০১০ সেমিষ্টার থেকে “একজন ছাত্র: একটি ল্যাপটপ” কর্মসূচীর আওতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীকে  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে ল্যপটপ প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর স্প্রিং ২০১৮ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া ২০০০ শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ দেয়া হয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেয়া হলো।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম জুয়েল বলেন, প্রযুক্তি আজ শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণের উদ্যোগ একটি সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তিনি শিক্ষার্থীদের  ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।  তিনি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ  ভবিষ্যত প্রজন্মেকে প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে বাস্তব ও কর্মমুখী  জীবনে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সহজে সমাধান করতে সহযোগিতা করবে। তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালিত “ওয়ান স্টুডেন্ট: ওয়ান ল্যাপটপ”  প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হামিদুল হক খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্নের ভিত্তিতে সোনার বাংলা গড়তে আত্মত্যাগ করেছিলেন বর্তমান প্রজন্মের উচিত নিজেদের সেভাবে প্রস্ফুটিত করে বাংলাদেশকে একটি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলে নিজেদের  যোগ্যতা প্রমাণ করা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে