ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ঐক্য প্যানেলের টিম লিডার যাচাই.কম লি:-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ অধিকার টিভিকে তার ভাবনার কথা জানান।
অধিকার টিভি : আপনি কেন ই-ক্যাব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন?
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ : সরকারি চাকরি ছেড়ে আমি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসায়ি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করি। আমি টেকনিক্যাল এডুকেশন কন্সোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি)”-এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট ও ”প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট এসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (PIANU)” প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছি। আমি আমিষ ব্র্যান্ডের এগ্রো খামার, সফটওয়্যার কোম্পানি, টেস্ট্রি এবং সতেজ নামে আলাদা দুটি অর্গানিক এবং প্রসেসিং ফুড ব্র্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ, মেট্রো সুপারশপ এবং রিটেইল বিজনেস, মিডিয়া, লজিস্টিকস কোম্পানি এবং আবাসন খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইইটি), ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউটের (এনপিআই), বিজিআইএফটি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএসটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল টেকনোলজি (এনআইএমটি), অগ্রনী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ভাউয়াল গাজীপুর মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট (বিজিএমআই) প্রতিষ্ঠা করেছি।
আমি ই-ক্যাবের সব সদস্য প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে এবং ই-ক্যাব সদস্যদের স্বার্থ ও অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতে চাই। ই-ক্যাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতৃত্ব দিয়ে এ খাতের উন্নয়নে আমি কাজ করতে চাই।
অধিকার টিভি : আপনি কী মনে করেন, ভোটাররা আপনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন?
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ : যে সব সংগঠনের সাথে আমি জড়িত সেখানকার সবাই জানে আমি কতটা জনকল্যাণমুখী। করোনা কালীন সময়ে যে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আয় এবং বেতন বন্ধ যখন হয়ে গেছে, তখন আমি সংগঠনের সামনে থেকে করোনা কালীন সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকল সদস্যদের কল্যাণে কাজ করেছি। সেই সময় আমি ও সংগঠনের সদস্যরা পরিশ্রম করে বেসরকারি ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য সরকারের কাছ থেকে অর্থ অনুদান বরাদ্দ করতে সফল হয়েছিলাম। আমার নিজের পাওয়ার কিছু নেই। আমি সবাইকে দিতে চাই। সততা আমার বড় শক্তি। আমার বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাবাকে দেখেছি অফিস থেকে ভুল করে একটা কলমও যদি তিনি নিয়ে আসতেন, সেটা দিয়ে আমাদের লিখতে দিতেন না। তিনি বলতেন, এটা সরকারি সম্পত্তি, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য নয়। তার কাছ থেকে এ ধরনের শিক্ষা পেয়ে আমি বড় হয়েছি। আমি মনে করি, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং নেতৃত্ব গুণাবলীর কারণে ই-ক্যাবের সম্মানিত সদস্যরা আমাকে নির্বাচিত করলে ই-ক্যাব এবং ই-ক্যাবের সদস্যদের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবো বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।
অধিকার টিভি : ই–ক্যাবের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা কী?
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ : ই-ক্যাবের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো- এখানে এর আগে কখনো ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়নি।
অধিকার টিভি : ই–ক্যাব নির্বাচনে আপনারা সবার শেষে প্যানেল দিয়েছেন, এর কারণ কী?
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ : প্যানেলের ঘোষণা সবার শেষে দিলেও আমরা কাজ করছি অনেক দিন আগে থেকে। তা ছাড়া আমাদের প্রতিপক্ষ দুটি প্যানেলের মধ্যে বর্তমান ই-ক্যাবের কমিটিতে একটি প্যানেলের বেশির ভাগ সদস্য রয়েছেন। তাই কিছুটা সময় লেগেছে।
অধিকার টিভি : নির্বাচনে জয়ী হলে সদস্যদের জন্য আপনি কী করবেন?
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ : আমি নির্বাচিত হলে ই-ক্যাবের জন্য স্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সম্মানিত ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠাতাদের নামে বিভিন্ন এওয়ার্ড চালু করবো। সেই সাথে ই-কমার্স সেক্টরের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো ও ই-কমার্স সেক্টরের দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখবো। এ ছাড়া ভোক্তা চাহিদা পূরণ করে ই-কমার্স খাতকে আরও বেশি গ্রাহকবান্ধব করে দেশের অর্থনীতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবো।