২০২২ সালের আলিম পরীক্ষার নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। গত ১০ মে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের আলিম পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ২ ঘণ্টা। এর মধ্যে রচনামূলকের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ও নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ২০ মিনিট সময় পাবে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে রচনামূলকে ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিকে থাকবে ১৫ নম্বর। আর ব্যবহারিক ছাড়া প্রতিটি বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ৪০ নম্বরের রচনামূলক পরীক্ষা ও ১৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা হবে।
তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের। আর উচ্চতর গণিত দুই পত্রের পরীক্ষাই হবে ৪৫ নম্বরের। আরবি ও ধর্মীয় বিষয়গুলোতে ৫০ থেকে ৬০ নম্বরের শুধু রচনামূলক পরীক্ষায় অংশ নেবে পরীক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোর রচনামূলকের ৪০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোর রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত হবে।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে। উচ্চতর গণিতের দুই পত্রের ৪৫ নম্বরকে ৭৫ এ রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে। আর আরবি ও ধর্মীয় বিষয়গুলোর নম্বরও ১০০ তে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে।
নম্বর বিভাজনে দেখা যায়, পদার্থবিজ্ঞান প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, রসায়ন প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে রচনামূলক অংশে প্রতিটি পত্রে মোট আটটি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ নম্বর। আর নৈর্ব্যক্তিকে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে, এর মধ্যে উত্তর করতে হবে ১৫টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর।
তবে, উচ্চতর গণিত প্রথম পত্রে নয়টি প্রশ্ন থাকবে মোট নম্বর হবে ৪৫ এবং দ্বিতীয় পত্রে আটটি প্রশ্ন থাকবে মোট নম্বর হবে ৪৫, যা ৭৫ নম্বরে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে। এ বিষয়ের বাকি নম্বর ব্যবহারিকের।
আলিমের কুরআন মাজিদ বিষয়ে মোট ১০টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে অনুবাদমূলক আটটি প্রশ্ন থেকে তিনটি ও শানে নুযুল লিখনের দুটি প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ বিষয়ে মোট নম্বর হবে ৫৫, যা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে।
হাদিস ও উসুলুল হাদিস বিষয়ে মোট প্রশ্ন থাকবে ১১টি। এর মধ্যে অনুবাদমূলক সাতটি প্রশ্নের মধ্যে তিনটির উত্তর দিতে হবে। আর উসুলুল হাদিস অংশের চারটি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর করতে হবে একটির। এ বিষয়ের মোট নম্বর হবে ৫৮, যা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে।
আল ফিকহ প্রথম পত্রে সাতটি প্রশ্ন থাকবে। উত্তর দিতে হবে তিনটির। মোট নম্বর হবে ৬০, যা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে। আল ফিকহ দ্বিতীয় পত্রে মোট ১৩টি প্রশ্ন থাকবে। উসুলুল ফিকহ থেকে আসা সাতটি প্রশ্নের দুটি, ফারায়েজের আলিফ অংশ থেকে আসা চারটি প্রশ্নের মধ্যে একটি ও ফারায়েজের বাকি অংশ থেকে আসা দুটি প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর দিতে হবে। মোট নম্বর হবে ৫৫, যা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের, যা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে। আরবি সাহিত্য পরীক্ষাও হবে ৫০ নম্বরের যা পরে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে।
বালাগাত ও মানতিক বিষয়ের মোট ১৪টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে ইলমুল বালাগাত থেকে আসা সাতটি প্রশ্নের মধ্যে তিনটির এবং মানতিক থেকে আসা বাকি সাতটি প্রশ্ন থেকে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
তাজভিদ প্রথম পত্রে মোট ১৫টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে যেকোনো ৫টির উত্তর করতে হবে, মোট নম্বর হবে ৫০। যা ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল দেওয়া হবে। তাজভিদ দ্বিতীয় পত্রে মোট ১৭টি প্রশ্ন থাকবে। এর মধ্যে হাদিয়্যাতুল ওয়াহিদ থেকে আসা ১২টি প্রশ্নের মধ্যে চারটি ও ফাওয়াজেদে মাক্কিয়্যার পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
উর্দু প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের। উর্দু প্রথম পত্রে গদ্যাংশ থেকে ২৫ নম্বরের এবং পদ্যাংশ থেকে ২৫ নম্বরের উত্তর করতে হবে। উর্দু দ্বিতীয় পত্র কাওয়াইদ অংশ থেকে আটটি প্রশ্নের মধ্যে দুটির, ইনশা অংশের পাঁচটি প্রশ্ন থেকে একটি, তরজমা অংশের দুটি প্রশ্নের মধ্যে একটি এবং খুতুত অংশের অধীনে থাকা একটি প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর করতে হবে।
ফার্সি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাও হবে ৫০ নম্বরের। ফার্সি প্রথম পত্রে গদ্যাংশে ২৫ নম্বর ও পদ্যাংশ ২৫ নম্বর থাকবে। ফার্সি দ্বিতীয় পত্রে ব্যাকরণ থেকে আসা আটটি প্রশ্ন থেকে দুটির উত্তর দিতে হবে, নম্বর থাকবে ২০। প্রবন্ধ, পত্র লিখন ও অনুবাদ অংশের নম্বর থাকবে ৩০।