‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ২০২২’ এ বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মোহাম্মদ রাশেদ হাসান পলাশ। অ্যালপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স কর্তৃক ২০২২ সালের বিশ্বসেরা গবেষকদের প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত তালিকায় বিশ্বের ২১৬টি দেশের ১৫ হাজার ৪২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ লাখ ৫ হাজার ৫৭৯ জন এবং দেশের ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার ৭৭২ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের দাবি, তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী, গবেষক ও অধ্যাপকদের পুরো কাজ এবং তাদের শেষ ৫ বছরের কাজ তুলে ধরা হয়েছে।

রাশেদ হাসান পলাশ সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক। তিনি এর পাশাপাশি ‘ইউনিভার্সিটি অব্ লিমা’র (পেরু, লাতিন আমেরিকা) ইনিস্টিউট অব্ সায়েন্টিফিক রিসার্চ ও গ্র্যাজুয়েট স্কুলে গবেষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এর আগে এফিলিয়েটেড গবেষক হিসেবে ‘লস এন্ঞ্জেলেস ক্যাথলিক ইউভার্সিটি অব্ চিম্বোট’ ও ‘ক্যাথলিক ইউভার্সিটি  অব্ ট্রুজিলো’ (পেরু, লাতিন আমেরিকা) তে নিয়োজিত ছিলেন।

বর্তমানে মোহাম্মদ রাশেদ হাসান পলাশের ৪০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র পৃথিবীর খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে (যেমন- Springer, Emerald, Wiley, Inderscience, ও MDPI উল্লেখযোগ্য)। সম্প্রতি তার আর্টিফিশিয়াল  ইন্টেলিজেন্স  ও গ্রীন এনার্জি টেকনোলজির উপর দুটি বুক চ্যাপ্টার প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া,   নেদারল্যান্ডস, মেক্সিকো, পেরু, আরব আমিরাত, ও মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশের গবেষকদের সাথে যৌথভাবে গবেষণা কাজ করছেন, যেখানে স্ব স্ব দেশের সরকার ও ইউনিভার্সিটি গবেষণা গ্র্যান্ট/ফান্ড প্রদান করেছেন। তিনি বিশ্বের নামকরা জার্নালে (Q1 ও Q2)  পর্যালোচক হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা কনফারেন্সের আয়োজক ও টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।

বর্তমানে রাশেদ হাসান পলাশ ‘Innovation, Green Energy Technology, Artificial Intelligence ও Knowledge Management’ নিয়ে গবেষণা করছেন।

২০০৭ সালে ঢাকার ধামরাইয়ের মোহিনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়  থেকে  রাশেদ হাসান পলাশ এসএসসি ও ২০০৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ২০১৩ সালে ‘নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ’ থেকে ফিন্যান্সে বিবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১৬ সালে মালয়েশিয়া থেকে ডীন লিস্ট এওয়ার্ডসহ এমবিএ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ‘লিমককউইং ইউনিভার্সিটি  অব্ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, মালয়েশিয়া’- তে পিএইচডি রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন।

মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন উত্তর কেষ্টি গ্রামের মো: শাহ্জাহান ও শাহনাজ পারভীনের সন্তান পলাশ। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মা একজন গৃহিণী।  দুই ভাই বোনের মাঝে পলাশ ছোট। বড় বোনও একজন শিক্ষক।

রাশেদ হাসান পলাশ বলেন, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে যোগদান করা ছিল আমার জন্য একটি মাইলফলক। এ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণার মান অনেক উঁচু মানের। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ  শিক্ষকদের গবেষণার জন্য অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন, যা আন্তর্জাতিকমানের গুরুত্ব বহন করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে