একটা সময় উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষার একমাত্র ভরসা ছিলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষার্থীর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতো। কেউ কেউ বিদেশ যাত্রা করলেও বাকিদের আশ্রয় ছিলো গতানুগতিক শিক্ষা।

পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার বর্ধিত চাহিদা পূরণে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবির্ভাব একটি যুগান্তকারী ঘটনা। প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯২ সালে। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক আর ভাড়া বাড়িতে-বাণিজ্যিক ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। এরপর পরবর্তী তিন দশক সময় ধরেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চ শিক্ষা প্রসারে রাখছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।

আর এই শিক্ষা কার্যক্রমের মহাযজ্ঞে যারা নিরলস নেপথ্যের সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা। আর তাদের পেশার দক্ষতা ও মানোন্নয়নে সময়ের চাহিদায় ২০১২ সালে যাত্রা করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পাবলিক রিলেশনস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (পুপরোয়া)।

পেশাগত উৎকর্ষতা লাভে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সকলের মাঝে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধন তৈরিতে সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারেও আয়োজন করা হয় বার্ষিক বনভোজনের। এবারের ভেন্যু ছিলো কুমিল্লার কোটবাড়ির পাহাড়ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ সমিতির সদস্য ও পরিবার পরিজনদের পদচারণায়  গত ২৪ ডিসেম্বর মুখরিত হয়ে উঠে প্রাণবৈচিত্রে ভরপুর ক্যাম্পাসটি।

আয়োজনের অংশ হিসেবে সকলের জন্যই ছিলো বিনোদনসমৃদ্ধ বিভিন্ন ইভেন্ট। পিলো পাসিং, বল ছোড়া আর র‍্যাফেল ড্র’র মতো নানান ইভেন্টে সবার যেমন মিলেছে নির্মল আনন্দ, তেমনই নাগরিক কর্মব্যস্ততার ফাঁকে সবার মিলেছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। আনন্দ-উচ্ছ্বাসের এমন আয়োজনে কর্মব্যস্ত এই মানুষগুলো যেনো ফিরে গিয়েছিলেন নিজেদের শৈশব-কৈশরে।

এমন বর্ণিল আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ও সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ভর্তি আর টিকে থাকার লড়াইয়ে জনসংযোগের ভূমিকাকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ত সঞ্চালন হিসেবে উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানান। এসময় তিনি সমিতির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।

বনভোজনে যোগ দিয়ে সমিতির উপদেষ্টা মনিরুজ্জামান টিপু নেটওয়ার্কিংকে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে দৃঢ় বন্ধন তৈরির আহ্বান জানান। এমন চমৎকার আয়োজনের প্রশংসা করে সবার মঙ্গল কামনা করেন তিনি।

অপরদিকে সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত নিজেদের বক্তব্যে, সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জনসংযোগ পেশা আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা বেলাল আহম্মেদ ও প্রকৌশলী মো: শরিফুল ইসলাম চৌধুরী।

বনভোজনে ৩৫ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার পরিজন অংশ নেন। বনভোজনে মিডিয়া পার্টনার অধিকার টিভি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে