বাংলাদেশ সৃষ্টি হওয়ার আগে থেকেই কারিগরি শিক্ষা চালু ছিল। বাংলাদেশ হওয়ার পরও এটি চলছে। প্রথম দিকে কম পরিসর ছিল। গ্রাফসম্যান লেভেল পর্যন্ত ছিল পলিটেকনিকগুলো। টেকনিক্যাল স্কুল ছিল। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে ছিল কিছু কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এগুলোয় তিন-ছয় মাস মেয়াদী শর্ট কোর্স ছিল। ওই সময়ে এই কারিগরি শিক্ষায় যে কার্যক্রম ছিল তখন যথেষ্ট দক্ষ জনবল তৈরি হতো। কারণ, তখন সব প্রতিষ্ঠান ছিল সরকারি। পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছিল সরকারের। ছিল দক্ষ প্রশিক্ষক। তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থাও ছিল। শিক্ষকরা চাকরিকে একটা সেবা হিসেবে নিয়েছিলেন। তাদের চাকরি স্থায়ী ছিল। শিক্ষকরা মনে করতেন, কিছু ছেলেমেয়েকে শিখাতে পেরেছি। এখান থেকে দক্ষ জনবল তৈরি হতো। কিন্ত একটা সময়ে এসে বেসরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া শুরু হলো। তখন থেকেই এর মান নিম্নপর্যায়ে যেতে শুরু করে। কারণ, এদের ভিতর কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগুলোকে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়েছে। সার্টিফিকেট সর্বস্ব প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। ঠিকমতো ক্লাস ,পরীক্ষা, ল্যাব ছাড়াই ছেলেমেয়েদের কোর্স সম্পন্ন হতো আর সার্টিফিকেট দিতো। ফলে এসব ছেলেমেয়েরা দক্ষতা ছাড়াই সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি জীবনে গিয়ে হতাশায় পড়ে। তারা কোথাও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। ফলশ্রুতিতে কারিগরি শিক্ষায় একটা জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি হয়। এখনো কিছূ প্রতিষ্ঠানে ভালো লেখাপড়া হয়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান মান বজায় রাখতে পারছে
না । এখন ছেলেমেয়েরা প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা তৈরি না হওয়ায় চাকরি করতে পারে না। আবার কেউ নিজে যে উদ্যোক্তা হবে সেই জ্ঞানটুকু তাদের শোখানো হয়নি। শিক্ষার্থীরা একটা সার্টিফিকেট কাগজ পেয়েছে। ব্যাবহারিক জ্ঞান তারা পায়নি। এ কারণে তাদের মধ্যে এই শিক্ষা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা হাতেকলমে শেখার ব্যাপার আছে। কিন্ত তা না হলে ওই শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে গিয়ে হতাশায় পড়ে। আমরা দেখি এই ঢাকা শহরে অনেক অটো মেকানিক্যাল গ্যারেজে কিছু শিক্ষার্থীরা পুরো একটি গাড়ির ইঞ্জিন খুলছে, আবার নিজে অ্যাসম্বল করছেন। কিন্ত দেখা গেছে এই ছেলেটি নিজের নাম লিখতে পারে না। তার কাছে এই কারিগরি ভবনের কোনো সনদও নাই। আবার বিপরীত দেখা যাচ্ছে টেকনিক্যাল শেখার সনদ আছে অনেকের কিন্তু বাস্তব দক্ষতা নেই। এটাই হলো আমাদের মূল সমস্যা। আমরা দক্ষতা তৈরি করছি না, সনদ দিচ্ছি। যার ফলে আমাদের বেকার সমস্যা প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে।
এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে হবে। দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। স্থাপন করতে হবে আধুনিক ল্যাব। এখন আমাদের দক্ষ প্রশিক্ষক পাওয়া যায় না। তাদের চাহিদা বেশি থাকায় তাদের আমরা যথাযথ সম্মানী দিয়ে আমাদের নিতে হবে। কিন্ত যাকে ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া দরকার তাকে যদি পাচঁ হাজার টাকা দেই, আবার তার কাছ থেকে মানসম্পন্ন পাঠদান আশা করি তাহলে পাওয়া যাবে না।
ভালো ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করতে হবে। দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এমন প্রশিক্ষণে ছেলেমেয়েরা তৈরি তৈরি হবে- যাতে সে চাকরির অপেক্ষায় না থাকে। নিজে নিজে উদ্যোক্তা হবে। আজকাল তো অনলাইনের যুগ। শিক্ষার্থীরা নিজের নামে একটি অনলাইন পেজ করে, তার সেবা সর্বত্র পৌঁছে দিতে পারছে। কিন্ত প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণের। এটিই হতে পারে আমাদের বেকার সমস্যা দূর করার প্রধান হাতিয়ার।
কারিগরি শিক্ষায় আসন দ্বিগুণ করে শতকরা হারে শিক্ষার্থী বাড়ানোর চিন্তা কতটা বিজ্ঞান সম্মত হয়েছে, আমার কাছে মনে প্রশ্ন জাগায় আগে পরিটেকনিকগুলোয় ক্যাপাসিটি বাড়ানো দরকার ছিল। দুই শিফট করা হলো কিন্ত দুই শিফটের সুবিধাদি তো আগের সমান। তাহলে কী হবে? এসব শিক্ষার্থীরা কতটা মানসম্পন্ন লেখাপড়া করতে পারবে? একটি ক্লাসে ৪০ শিক্ষার্থীকে পাঠ দেওয়ার উপযোগি করা হয়েছিল। এখন সেখানে দ্বিগুন হলে সেই ল্যাবে ব্যবহারিক ক্লাস কীভাবে হবে? কারণ, ওই সময়ে ৪০ জন শিক্ষার্থীর জন্যই ল্যাবের ডিজাইন করা হয়েছে। ৪০ জনের মধ্যে ২০ জন এক সঙ্গে ল্যাবে ব্যাবহারিক ক্লাস করতে পারে। এর মধ্যে প্রতি ৪-৫ জন করে একটি গ্রুপ করা হয়। একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে ৩-৪ জন ল্যাব সহকারী মিলে একটি গ্রুপের ব্যাবহারি ক্লাসের ধারনা দেওয়া হয়। ফলে ক্লাসগুলোয় সব মনোয়োগ থাকে। এখন যদি ৪-৫ জনের জায়গায় ১০ জন করে গ্রুপ করে একটি ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হয়, তাহলে একজন ল্যাব সহকারী কী করে ১০ জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন? তাছাড়া অনেক ল্যাবে একটি যন্ত্রের কাছে ১০ জন শিক্ষার্থী এক সঙ্গে জড়ো হওয়ার মতো জায়গাও থাকে না। অর্থাৎকারিগরি শিক্ষা আমরা অনেকটা গোঁজামিল দিয়েই চালানোর চেষ্টা করছি।
এটি বিশেষ শিক্ষা বিধায় এর পাঠদান, ব্যবহারিক ক্লাস, পরীক্ষা সাধারণ শিক্ষার চেয়ে ভিন্নপন্থায় হয়। আমরা বলছি-মানসম্পন্ন শিক্ষা, তাহলে সেই মানের জন্য জন্য কী উদ্যোগ নিয়েছি? সেটি কতটুকু বিজ্ঞান সম্মত হচ্ছে? একটু চিন্তা করতে হবে। এই বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে, কারিগরি শিক্ষা প্রশাসন কারা দেখভাল করেছেন? তারা কী কারগরিখাতের ব্যাক্তি কী না? একটা মৌলিক বিষয় হচ্ছে- যে কেউ যদি ডাক্তার না হন, সে কিন্তু রোগীর সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবেন না্। আবার সমস্যার সঠিক ঔষুধও দিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে তাই হচ্ছে, আমাদের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এক সময়ে এই খাতের জ্যেষ্ঠরা প্রশাসনিক পদে থাকতেন। এখন সেটি প্রায় বিলুপ্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যদি ডাক্তারদের প্রশাসনিক পদে দেয়া হয়। কারিগরি তো স্বাস্থ্যের মতোই একটি টেকনিক্যাল খাত। প্রতিবছর আমাদের পাবলিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে মেধাবী প্রকৌশলীরা বের হচ্ছেন, তারা অত্যান্ত দক্ষ। তাদের যদি সুযোগ দেওয়া হয়, আর বলা হয় যোগ্য লোক নাই। এখন হয়তো প্রশ্ন করবেন যে, তাদের প্রাশসনিক দক্ষতার ঘাটিতি থাকতে পারে। এই ঘাটতির জন্য প্রয়োজনে তাদের নিয়েগের পরে প্রশাসনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নিন। যতদিন পর্যন্ত কারিগরিতে দক্ষ লোকদের দিয়ে করিগরি শিক্ষা পরিচালনা না করা হয়, এইখাতের সমস্যারও সঠিক সমাধান হবে না।
অবকাঠামো, প্রশাসন এর বাইরে আরো একটি বিষয় হলো প্রয়োজনের তুলনায় পলিটেকনিকগুলোয় শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম। এর পেছনের কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আবার পদোন্নতিতেও সমস্যা আছে। এখন আইনি বিধিবিধানে যদি শিক্ষক নিয়োগে সমস্যা থাকে সেখানে গুরুত্ব দিয়ে আগে সংশোধন করা উচিত। এছাড়া, শিক্ষকদের পদোন্নতির জটিলতা হয়েছে আবার শিক্ষকদের কারনে। একটি গ্রুপকে পদোন্নতি দিতে গেলে আরেক গ্রুপ এর বিরোধীতা করে মামলা করে। ফলে সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পারছে না । আইনের কোথায় ব্যত্যয় আছে, কোথায় সমস্যা আছে সেখানে মনোযোগ দিতে হবে। সমস্যা তড়িৎগতিতে সমাধান করতে হবে। এর জন্য দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয় আছে। আছে দুটি বিভাগ। কারিগরির জন্য পৃথক বিভাগ করা হয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ইচ্ছে আছে কারিগরি শিক্ষা আরো বিস্তারের। তাদের প্রত্যাশা দেশটা আরো উন্নতি করার। কিন্তু এর বাস্তবায়ন যারা করবেন সেখানটায় সমস্যা। সেখানে নিয়ম কানুনের বেড়াজালে ফেলে এই কারিগরি খাতকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করা হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত কারিকুলামে নতুন প্রযুক্তি সংযুক্ত করা দরকার। লেখাপড়া পুরনো প্রযুক্তির হলে, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপখাওয়াতে পারবেনা ছেলেমেয়েরা। যেই প্রযুক্তি উন্নতি দেশগুলোয় ব্যাবহার করা হচ্ছে, কিন্ত সেটি আমাদের দেশে আসতে হয়তো ২০ বছর লাগবে। তাই বলে কী আমরা ২০ বছর বসে থাকবো? না, আমাদের শিক্ষকরা ওইসব দেশে গিয়ে নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করে আসবে। প্রতি বছর নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের বিদেশ পাঠাতে হবে। কেউ যাবে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণের জন্য। কেউ যাবে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য। এক সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখনও সেটা হচ্ছে তবে প্রয়োজনের তুলনায় কম। বা সঠিক ব্যাক্তিকে পাঠানো হয় না। এছাড়া, প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের ল্যাবের মেশিনারি আপগ্রেড করতে হবে। ল্যাবে পঞ্চাশ-ষাট বছরের যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্যবহারিক ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। তারা নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও ব্যবহার সম্পর্কে তারা পিছিয়ে থাকবে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এখন ছেলেমেয়েরা যে কোর্স কারিকুলামে প্রশিক্ষণ ডিগ্রি নিচ্ছে এই আলোকে আমাদের নিয়োগ বিধিতে পুরোপুরি সংযুক্ত হয়নি। ফলে বিভিন্ন ইমার্জিং কোর্স সম্পন্ন করে ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। যেমন একটা ছেলে যদি সিভিল উড থেকে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে থাকে, এই কোর্স উল্লেখ করে কোথাও চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকে সিভিল। সুতরাং ওই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া সম্পর্কিত চাকরির সুযোগের পথ তৈরি হচ্ছে না। এমন অনেকগুলো কোর্স আছে যেগুলোয় আমাদের চাকরির বিধির সঙ্গে মিল নেই। এখন আমাদের এই বিষয়েও নজর দিতে হবে। যারা কোর্স করিকুলাম পরিবর্তন সংযোজন-বিয়োজন করেন, তারাই সুপারিশ করবেন নিয়োগ বিধি পরিবর্তনের। কারণ লেখাপড়া চাকরি একটি অন্যটির সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্কিত ইস্যু। বাস্তবে আমরা এমনটি দেখছি না।
আবার আমাদের পলিটেকনিক থেকে যারা ডিপ্লোমা কোর্সে সম্পন্ন করেন, তাদের জন্য বিএসসি কোর্স করার সুযোগ নেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এর জন্য পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) করা হয়েছে। সময়ের আবর্তনে সেখানেও বর্তমান চাহিদার তুলনায় ভর্তির সুযোগ অপ্রতুল। সবার উচ্চশিক্ষা নাও লাগতে পারে। যার সুযোগ সামর্থ থাকবে যে যদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে উচ্চ শিক্ষা নেবে সেই পথ তৈরি রাখা দরকার। কিন্ত আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একধরনের হীনমান্যতায় এই সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে। পাবলিক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় চাওয়া হয় যে, এসএসসি ও এইচএসসিতে নির্ধারিত গ্রেড পয়েন্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ ডিপ্লোমা থেকে ভর্তির আবেদনই করার সুযোগ পেল না। এগুলো সমন্বয় করার জন্য কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে, অথবা দিতে হবে। আমরা সেই কাজটি দেখছি না। এটি না হওয়ায় ছেলেমেয়েরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। দেখা যাচ্ছে যে বিষয়ে পাস করছে, সেই বিষয়ের চাকরি নেই, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই। তারা হতাশায় পড়েন। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল সেটার প্রতি তার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। এভাবে একটি ছাত্র বেকার থাকলো। তার পরিবার তার আয় থেকে বঞ্চিত হলো । সমাজ রাষ্ট্রও তার সেবা থেকে বঞ্চিত হলো। এভাবে দেশও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বর্তমান যে সময়টা আমরা পার করছি এটি পুরো বিশ্বের জন্যই বড় সমস্যা কোভিড-১৯‘ । এর প্রভাবে আমাদের লেখাপড়া বন্ধ। দীর্ঘদিন বন্ধ আছে, আমরা জানি না কবে কখন স্বাভাবিক ক্লাসে যেতে পারবো। এজন্য আমি মনে করি, এখন থেকে কারিগরির তাত্ত্বিক ক্লাসগুলো অনলাইনে নিয়ে কোর্স সম্পন্ন করে রাখবে। এরপর যখন করোনা সংক্রামণের হার কাঙিক্ষত নিম্নপর্যায়ে নেমে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ তৈরি হবে। তখন এই কোর্সগুলোর ব্যবহারিক ক্লাস করিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী সেশনে উত্তীর্ণ করতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক আবুল কাশেম: উপাচার্য, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। সাবেক মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। কৃতজ্ঞতা : কলম।