ওই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক বলছেন আপনি আইনমন্ত্রী সব কথা জিজ্ঞেস করতেও আপনাকে ভয় লাগে তারপরেও আপনাকে একদম ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চান, আপনাকে আমি কোনো প্রশ্ন করবো না। এসময় আনিসুল হক বলেন, আপনি প্রশ্ন করেন কি জানতে চান, আমি বলে দিচ্ছি। ফলে স্বাভাবিকতা বজায় রেখেই নারী উপস্থাপক বলেন, আপনার পারিবারিক জীবন সম্পর্কে জানতে চাই। আমরা কিছুটা জানি, আপনি এরেচেয়ে বেশি জানেন-
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কিছুটা উদাস হলেন। মঞ্চে থেকেই দৃষ্টি কিছুটা উদাস হয়ে যায়। ওপরের দিকে তাকালেন, যেন আসলে তিনি সময়ের দিকে তাকালেন, এবং সময় তাঁকে গ্রহণ করে স্বভাবত তথ্য সরবরাহ করতে শুরু করলো। আইনমন্ত্রী বললেন, ‘আমি ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরের ১৮ তারিখে বিয়ে করি। আমার স্ত্রীকে ২ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে…’ তারপরে মাথা নিচু করেন কণ্ঠ ভার হয়ে আসে, বাষ্পরুদ্ধ হতে থাকে। কণ্ঠ থেকে নিঃসৃত শব্দমালা কাঁপতে থাকে থাকে। তিনি বলেন, ‘১ জানুয়ারি অ্যাকসিডেন্ট করেন, কার অ্যাকসিডেন্ট। ২ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে, ২ টা ৪৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।
হয়তো শ্রোতারা খুব অপেক্ষা করে থাকেন, এরপরের গল্পটা কী, আসলেই কি হয়েছিল তারপরে কেননা তিনি একজন আইনমন্ত্রী। মন্ত্রীর অন্তরালের জীবনযাপন সম্পর্কে হয়তো অনেকের আগ্রহ থাকে। কেননা তাদের জীবন সহজে তো জানা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। আনিসুল হকের জীবনের গল্পটা এমন নেপথ্যে এমন একটা মর্মান্ত্রিক ঘটনা চাপা ছিল তা কে ভাবতে পারবেন? না আনিসুল হক স্ত্রী বিয়োগের পর আর বিয়ে করেননি। বারবার রুদ্ধ হয়ে আসা কণ্ঠে আইনমন্ত্রী বলেন, এরপরে বিবাহ, বিবাহ করিনি এটা ঠিক। আমাদের কোনো সন্তান নাই সেটাও ঠিক। আমি তিন বছর ১৪ দিন বিবাহিত ছিলাম, আর এখন বিপত্নীক।
এরপরে উপস্থাপক জিজ্ঞেস করেন, আপনার কাছে জীবন মানে কী? আনিসুল হক সুপষ্ট আবেগ মিশ্রিত কণ্ঠে জবাব দেন, জীবন মানে কিছু করে বেঁচে থাকা। স্ত্রীর প্রতি যে গভীর ভালোবাসা তা নেটিজেনদের ছুঁয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ক্লিপস যমুনা টেলিভিশনের মন্ত্রী সাহেব অনুষ্ঠানের একটি পর্বের।