স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান।
মামলার এজাহারে ইসরাত জাহান উল্লেখ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন তার স্বামী। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট আল-আমিন তাকে মারধর করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে পারেন আল আমিন। তবে স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে বাঁচতে বাসা থেকে পালিয়ে গেছেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
শুক্রবার মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর মিরপুর ২ নাম্বারে আল আমিনের বাসায় এই ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করতে হাজির হয় পুলিশ। তবে বাসায় পাওয়া যায়নি তাকে। এমনকি এখনও এই ক্রিকেটারের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এই প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. সোহেল রানা গণমাধ্যমে বলেন, ‘যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেয়ার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাকে বাসায়ও পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
এদিকে এই ক্রিকেটারের স্ত্রী ইসরাত জাহানের এক ঘনিষ্ঠজন থেকে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আল আমিন। বাসায় তো ফেরেননি, এমনকি তাকে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাই এখনও গ্রেপ্তারের আওতায় আনতে পারেননি এই ক্রিকেটারকে।