টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২০১৬ সালের পর এশিয়া কাপে আবারও দেখা মিলেছে এই সংস্করণের। দ্বিতীয়বার শুরু হওয়া এই সংস্করণে টাইগাররা এখনো খুব একটা ধারাবাহিক না। এসব কারণেই কোচ ও অধিনায়ক বদলে চলমান এশিয়া কাপে নতুনত্ব আনতে চেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর আফগানিস্তান দলের আত্মবিশ্বাস আকাশছোঁয়া। তাদের পারফরম্যান্স রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি সমর্থকদের মনে। আইসিসির টি-২০ র‍্যাংকিংয়ের অবস্থান নিশ্চিতভাবেই এই ফরম্যাটে দুই দল সম্পর্কে হয়তো সঠিক বার্তা দিতে পারছে না। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে টাইগারদের চেয়ে পরিণত দল আফগানিস্তান।

চলমান এশিয়া কাপে দারুণ ফর্মে আছে মোহাম্মদ নবির দল। শ্রীলংকাকে উড়িয়ে দেওয়া আফগানদের বিপক্ষেই আজ বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন শুরু হবে, যে ম্যাচে নবির দলটার সঙ্গেই থাকছে ‘ফেভারিটের’ তকমা। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

তবে উড়তে থাকা আফগানদের ওপর হামলে পড়ার উপলক্ষ্য আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামনে। কারণ আজ মাঠে নামতেই দেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০তে ম্যাচ খেলার ‘সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করবেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের শততম ম্যাচটা জয়ের আবিরে রাঙাতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। জ্বলে উঠতে হবে দল হিসেবে।

আফগান পরীক্ষায় টাইগারদের পক্ষে নেই পরিসংখ্যান, পারিপার্শ্বিকতা। এটুকু বিশ্বাস অবশ্য আছে যে, আফগানদের মাটিতে নামানোর সামর্থ্য আছে টিম বাংলাদেশের। আগের আট বারের সাক্ষাতে তাদের কাছে পাঁচ বার হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে তিন বার। আবার শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয় চিন্তার কারণ বটে। অধিনায়ক সাকিবের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দলের বড় সাহস। ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের কাছেও ব্যবধান গড়া পারফরম্যান্স চায় বাংলাদেশ। সঙ্গে এই ফরম্যাটের অভিজ্ঞ বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের জ্বলে ওঠা প্রয়োজন। বিজয়, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, শেখ মেহেদীরা পারফর্ম করতে পারলে আফগানদের হারানো সম্ভব।

দুরন্ত ছন্দে থাকা আফগানিস্তান দলের মূল শক্তি বোলিং। স্পিনার রশিদ খান, মুজিব, নবিদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফজল হক ফারুকির ক্ষুরধার পেস বোলিং। সামনে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ, যা উতরে যেতে হবে সাহসী ব্যাটিং দিয়ে। সাকিব-মুস্তাফিজ-মেহেদীকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলিংটাও নেহাত খারাপ নয়। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জেরকারের মতে, আজকের ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবেন ব্যাটসম্যানরা। যে দলের ব্যাটিং ভালো হবে, তারাই জয়ের হাসি হাসবে।

এখন দেখার বিষয় সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর ৩১৮ ম্যাচের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিতে পারে কি না।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে