শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, একাত্তরের পরাজয়ের গ্লানি ও প্রতিশোধ পরায়নতা এবং শোষিতের গণতন্ত্রের মতাদর্শের কারণে বঙ্গবন্ধুকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্রের মতবাদ পুঁজিবাদী বিশ্বের জন্য অনেক বড় থ্রেট ছিল। তার এই মতাদর্শের কারণে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের নির্যাতিত ও বঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। তাই তাকে বিশ্ব মোড়লদের অনেক ভয় ছিল। তিনি গত ২১ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আমাই) সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে “১৫ই আগস্ট ২০২২: শোক থেকে শক্তির ক্রম-উত্থান ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: মশিউর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ও অনেক বেশি ভয় ছিল ঘাতকদের। তাই তার পরিবারের প্রায় সবাইকে হত্যা করে তাকে নির্বংশ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাদের ভয় অমূলক ছিল না। তার প্রমাণ আজকের শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদেরকে অসাম্প্রদায়িক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যাবস্থায় জোর দিতে হবে।
প্রফেসর ড. মো: মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু রচিত অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়া চীন বইগুলো পরলে এ কথা বুঝা যায় তিনি যদি রাজনীতি না করে শুধু লিখতেন তাহলেও তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন হতেন।