সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৩ আগষ্ট মোহাম্মদপুরস্থ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বিইউ’র ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ জনাব কামরুল হাসান, রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহবুবুল হক (অব:) এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ আমিরুল আলম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি শোকাবহ ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদসহ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরন করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জীবনকর্ম তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে অনেক নেতা জন্ম নিয়েছেন কিন্তু একমাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুুকে আমাদের জানা উচিত পরিপূর্ণভাবে, দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি সর্বোপরি মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতোটা গভীর, কতোটা আন্তরিক ছিলো। একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত, যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতোদিন একজন বাঙালিও থাকবে, যতোদিন পৃথিবীর ইতিহাস থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততোদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এদেশ উন্নত রাষ্টে পরিনত হতো। ৭৫ পরবর্তী দোসররা এ দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিলো কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিইউ’র কোষাধ্যক্ষ কামরুল হাসান বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবন ও কর্ম তুলে ধরে বলেন, একদম শেকড় থেকে বা মাটির মানুষের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু উঠে এসেছেন এবং সারাজীবন তৃনমুল মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল শোকাবহ ১৫ আগষ্টের শহীদদের স্মরন করে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ থেকে বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তাই আজ তাঁর আদর্শ ও দর্শন শুধু আমাদের জন্য আধুনিক চিন্তাধারা তৈরীর ক্ষেত্রে অমূল্য সম্পদে পরিনত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙ্গালির নেতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিইউ’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ আমিরুল আলম খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইংরেজী বিভাগের প্রধান শেখ আলাউদ্দিন। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।