ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার কোর্স ৪ বছর থেকে কমিয়ে ৩ বছর করা সংক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোক্তাদের সংগঠন টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি)। গত ১২ আগস্ট গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী আবদুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী সন্তেষ প্রকাশ করেন। এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কারিগরি শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মনের কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন। কেননা, ২০০০ সালে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের চাকরি জীবনের পদোন্নতিসহ ব্যক্তিগত স্বার্থ সামনে রেখে ডিপ্লোমা কোর্সকে ৪ বছর করার আন্দোলন করেছেন। তাদের স্বার্থ আদায়ে একদিকে তখনকার সরকারকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। অন্যদিকে আন্দোলন সফল করতে তারা ছাত্রছাত্রীদেরকে ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন এই বলে যে, কোর্স ৪ বছর হলে স্নাতক মর্যাদা পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীযা তখন বিভ্রান্ত হয়ে আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলো । কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা তখন আইন ও বিধান জানতো না যে, কোনো বোর্ড (কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) স্নাতক ডিগ্রি দিতে পারে না। যে কারণে বাস্তবে আজ পর্যন্ত ডিপ্লোমা কোর্স আর স্নাতক মর্যাদা পায়নি।
টেকবিডির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পৃথিবীর কোথাও বর্তমানে ৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স নেই। বর্তমানে ৪ বছরের ডিপ্লোমা লেখাপড়া করে একজন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকের সমান মর্যাদা পাচ্ছে। আবার কেউ যদি স্নাতক হতে চায় তাহলে তাকে আরও ৪বছর পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে প্রকৌশল শিক্ষায় আগ্রহীরা দেখছে যে, এর পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষায় গেলে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৬ বছরে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়। পাশাপাশি আরেকবছর ব্যয় করলে মাস্টার্স ডিগ্রিও অর্জন করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় ৭ বছর যাওয়ার পরও একটি বছর বেঁচে যায়। পাশাপাশি অর্থের সাশ্রয়ও হচ্ছে। সবমিলে উলিখিত প্রতিবন্ধকতার কারণে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষাথী-অভিভাবকরা উৎসাহ হারাচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের এই মুহূর্তে শিক্ষা অগ্রাধিকার কর্মসূচি। কিন্তু এই অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। তাই অগ্রাধিকার লক্ষ্য অর্জনে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসমুহ চিহ্নিত করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার অন্যতম হচ্ছে কোর্সের ৪ বছরের মেয়াদ। তাই শিক্ষামন্ত্রী যথাযথই বলেছেন। কেননা, আমরা যাই বলি না কেন, অর্থ আর সময় সাশ্রয় সব মানুষই চায়। তাই শিক্ষামন্ত্রীর এ সংক্রান্ত বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমরা মনে করি। সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে থাকবে।