২০১৪ সালে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, সমস্যা নিরসন ও কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে একটি বানিজ্যিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ই-ক্যাবের বর্তমান সদস্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭০০। আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জাতীয় সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন।
এরই মধ্যে নির্বাচনে অংশ নিতে ৯টি পদের বিপরীতে বুধবার (১৮ মে) পর্যন্ত ৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উদ্যোক্তা এবং সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত ও ‘যাচাই.কম’-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ আজ বুধবার (১৮ মে) ই-ক্যাবের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ই-ক্যাবের ধানমন্ডি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় অধিকার টিভি’র অনলাইনকে আব্দুল আজিজ বলেন, আমি ই-ক্যাব সকল সদস্যদের প্রার্থী।
ইনশাআল্লাহ আমি বিজয়ী হলে ই-ক্যাবের স্থায়ী কার্যালয় করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করবো।
অধিকার টিভি’র অনলাইনকে আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ আমি একটি ছোট ই-কমার্স, যাচাই ডট কম -এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ই ক্যাব -এর সদস্য। আমি একজন ছোট উদ্যোক্তা হিসেবে সৎভাবে
ই-কমার্স পরিচালনা করতে গিয়ে নানামুখী প্রতিকূলতার এবং সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। বারবার স্বপ্ন ভেঙ্গে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছি, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। কখনো হাল ছাড়িনি। বার বার মনে হয়েছে, যে যুদ্ধটা একা চালিয়ে যাচ্ছি, যদি পাশে কাউকে পাই! যিনি বা যেই সংগঠন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সঠিক পরামর্শ দিবেন এবং সাহস দিয়ে যুদ্ধ জয়ের জন্য সহযোগিতা করবেন। আমি যেহেতু ছোট পরিসরে ই-কমার্স পরিচালনা করছি, তাই কিছু সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছি। ই-কমার্স সেক্টরের সকলের চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমি ই-ক্যাবের সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে এবং ই-ক্যাব সদস্যদের স্বার্থ এবং অধিকার আদায়ের জন্য আমি কাজ করতে চাই। এই জন্য ই-ক্যাব নির্বাচনে পরিচালক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।
ইনশাআল্লাহ আমি নির্বাচিত হলে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য নিজেকে সর্বদা নিবেদিত রাখবো। আগামী দিন গুলোতে ই-কমার্স সংক্রান্ত বিষয়ে সদস্যদের সাথে ধারাবাহিক মতবিনিময় করে সমস্যা চিহ্নিত করবো এবং চিহ্নিত সমস্যাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিটি সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করবো।
ইক্যাবের সকল সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করে সদস্যদের মতামত বিবেচনায় নিয়ে সদস্যদের কল্যানে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
পাঁচ মাস অন্তর অন্তর সদ্যস্যদের মতামত গ্রহন করার পর সদস্যদের মতামতের উপর ভিত্তি করে সকল কাজের অগ্রগতি এবং অসম্পূর্ণ কাজের তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিবো। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রায় সকল প্রার্থী এবং সদস্যদের দোয়া নিয়েছি।
আমি ই-ক্যাবের সম্মানিত সকল সদস্যবৃন্দের ভালোবাসা, দোয়া এবং সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক ভোটার তালিকা। এই তালিকায় রয়েছে ৭৯৫ জন ভোটার। গত ১০ মে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর আজ বুধবার (১৮ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কার্যক্রম সুযোগ ছিলো। নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ মে পর্যন্ত। ১৮ জুন ভোট গ্রহণ ও পদবণ্টন শেষে আগামী ২ জুলাই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটি।