শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। তিনি বলেন অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে। করোনার কারণে আবারও আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না।
২০২৩ সাল থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। উল্লেখ্য আজ থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার শ্রেনি কক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
আজ সকালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মিলনায়তন থেকে দেশের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এই উদ্ভোধনের মাধ্যমে আজ থেকে শুরু হলো নতুন কারিকুলামের আওতায় ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ে পাঠদানের পাইলটিং কার্যক্রম ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা নিজেরা করে করে শিখবে। যতটা সম্ভব ভালোভাবে তারা শিখবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থী দক্ষ, যোগ্য হবে, মানবিক বোধ সম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠবে। আমাদের উদ্দেশ্য যতগুলো জাতীয় লক্ষ্য আছে তা অর্জন করা, শান্তিপুর্ণ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়া। শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার প্রতি আমার আহ্বান-পাইলটিং হচ্ছে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে তা যেনও আমাদের জানানো হয়, আমরা যেন সবচেয়ে ভালো কারিকুলাম প্রণয়ন করতে পারি।
শিক্ষকসহ অনুষ্ঠানে কারিকুলাম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, সকলের প্রতি আমার অনুরোধ নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সঙ্গে কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবেন।
শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেন, শিক্ষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রাখবো-কারিকুলামের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে এবং সর্বাধুনিক করতে শিক্ষকদের ভুমিকা গুরুত্বপুর্ণ। শিক্ষকদের সর্বোচ্চ মনোযোগ চাই। দক্ষতা ও মান অর্জনে সর্বোচ্চ কাজ করতে হবে আপনাদের।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, পাইলটিং যেটা হচ্ছে, তাতে শিক্ষকরাই জানবেন কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা এক নয়, সকল শিক্ষার্থীর সক্ষমতাও এক নয়। এই বিষয়গুলির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান।