ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে আর অনুষ্ঠিত হবে না। বরং খ-ইউনিটের অধীনেই কলা, আইন, ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ এখন থেকে মোট চারটি ইউনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সাধারণ ভর্তি কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় চলতি বছর থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পুনঃনির্ধারিত আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এটি অনেক আগের একটি সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে একটি ভর্তি পরীক্ষার চাপ কমে যাবে। এখন থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তিপরীক্ষা খ-ইউনিটের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে’। অর্থাৎ ঘ-ইউনিট আর স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে থাকছে না।
উল্লেখ্য, এতদিন বহাল থাকা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ-ইউনিটে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়ে আসা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারতেন। এর মাধ্যমে সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগ এবং বিজ্ঞানবিষয়ক কয়েকটি বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেতেন তারা। এই ইউনিট বাতিলের ফলে বিভাগ পরিবর্তনের বিষয়টি কীভাবে করা হবে-জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, এই বিষয়ে ডিন্স সাব কমিটিকে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় ভর্তি পরীক্ষায় মোট আসন সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ বিষয়েও সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষার মোট আসন শিক্ষার গুণগত মান, পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের জীবনমান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগিতা-প্রভৃতি সূচকের আলোকে যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হয়। এরই আলোকে আসন সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হয়েছে। এতে কোথায় বৃদ্ধি পেয়েছে, কোথাও কমেছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ ভর্তি কমিটির এই বিশেষ সভায় গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিন্স কমিটির বিশেষ সভার সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা করা হয় এবং ভর্তির যৌক্তিক আসন সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণীত হয়। এই সুপারিশ অনুমোদনের জন্য পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পেশ করা হবে। আগামী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুনঃনির্ধারিত আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ছিল ৭ হাজার ১২৫টি। আসন সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হলে তা হবে ৬ হাজার ১১০। অর্থাৎ ১ হাজার ১৫টি আসন কমবে।