দেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুতের চাহিদা ততোই বাড়ছে। আবার উন্নয়নের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কলকারখানা। এতে দৈনিন্দিন জীবনে ও বাসা বাড়িতে এবং কলকারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর।
আজকাল অনেক শিক্ষিত তরুণ ছুটছে নিত্য নতুন আবিষ্কারের পিছনে। রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাজ্জাকুল হায়াত, আশরাফুল আলম, অরুণ চন্দ্র, রাশেদুল ইসলাম, ও এস এম সাজ্জাদ নামের পাঁচ তরুণ উদ্ভাবক উদ্ভাবন করেছে সোলার পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম। তরুণ শিক্ষার্থীরা এই প্রজেক্টের নাম দিয়েছে হাইব্রিড ওয়াইন্ড।
তরুণ এই উদ্ভাবক দলের প্রত্যেকেই সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের তৈরি করা সোলার প্যানেল প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, হালকা বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করে সস্তায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাতাসের সংযোগ পাওয়া মাত্রই এই সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। আর এই সোলার প্যানেলটি বাতাস যতো বেশি পাবে তত বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
এর ভবিষ্যত প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই ধরনের সোলার প্যানেল যদি আমরা রাস্তার মাঝে আইল্যান্ডে বা ডিভাইডারে স্থাপন করি, তাহলে প্রতিটি সোলার প্যানেল দিয়ে দুই থেকে তিনটি লাইট জালানো সম্ভব। এ জন্য জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রীডের কোনো বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে না। এই পদ্ধতিতে যে কেউ সোলার প্যানেল থেকে ব্যাটারি চার্জ করতে পারবে আবার বায়ু থেকেও ব্যাটারি চার্জ করতে পারবে।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ ও ফ্যাকাল্টি এবং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকেরা সব সময় শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে সবসময় সহযোগিতা করে আসছে। এ ছাড়া শিক্ষকেরা রিজেনারেটিভ অর্থ্যাৎ ফসিল ফুয়েল বাদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যাবহার করে কিভাবে শক্তি উৎপাদন করা যায়, সে শিক্ষাও দিচ্ছে।