শাবিপ্রবি থেকেঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে সিলেটে এসেছেন। তারা অনশনস্থলের পাশেই প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে সংহতি জানান।
এই দুই শিক্ষার্থী ১৪-১৫ সেশনের মাহফুজুর রহমান ও ১৭-১৯ সেশনের নাঈম হাসান। তাদের প্ল্যাকার্ডে সংহতির পাশাপাশি লেখা ছিল, ‘বর্বর ভিসির অপসারণ চাই’, ‘ শিক্ষার্থী বিরোধী মামলা প্রত্যাহার কর’।
দুই শিক্ষার্থী এসময় বলেন, তারা শাবিপ্রবির পাশে আছে। আজ রাতেই তারা ঢাকা ফিরে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে। ফল আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শাবিপ্রবির পাশে আছে বলেও এমন মন্তব্য করেন তারা।
শাবিপ্রবির আনশনের শত ঘণ্টা পরে ১৭ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বকে জানা গেছে৷ আর অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ১১ জন শিক্ষার্থী। যদিও হাসপাতালে ভর্তি কেউ এখন পর্যন্ত অনশন ভেঙ্গেছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ হাসপাতাল থেকে ফিরে আবারও অনশনে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে সেই বৈঠক খুব একটা ফলপ্রসু হয়নি। আজ রবিবার দুপুরের পর আবার বৈঠক হবার কথা থাকলেও এখনও সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ আর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস। গত বুধবার দুপুর পৌঁনে ৩টা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। এর মধ্যে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অনশন শুরুর পরের দিন বাড়ি চলে যান। এখন পর্যন্ত ২৩ অনশনকারীর ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি ৭ শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।