করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর জন্য ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এখন তা আবার পুরোদমে শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) থেকে ইউনিক আইডির সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য থাকবে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে ইউনিক আইডির প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আইইআইএমএস প্রকল্পের আওতায় সিআরভিএস ব্যবস্থার আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণি) শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল ডাটাবেইজ তৈরি ও ইউনিক আইডি প্রদানের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ে তথ্যছক পূরণের কার্যক্রম চলমান আছে। সোমবার থেকে সফটওয়্যারে ডাটা এন্ট্রি ও আপলোড শুরু হবে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ করার অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা, অভিভাবকের জন্মনিবন্ধনের ১৭ ডিজিট দিতে হবে। অর্থাৎ এই জন্মসনদ নম্বর ১৩ ডিজিট বিশিষ্ট হলে এন্ট্রি দেয়ার সময় শুরুতে জন্মসাল যুক্ত করতে হবে।
যেভাবে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে
ব্যানবেইজের ওয়েবসাইট থেকে IEIMS মেন্যুতে গিয়ে ইউনিক আইডির লাইভ সার্ভারে ক্লিক করে CRVS Institution Login page এ যেতে হবে। অথবা www.crvs-institute.banbeis.gov.bd এ ক্লিক করে CRVS Institution Login page এ যেতে হবে।
সফটওয়্যারে এন্ট্রি ও আপলোড করার কাজে দায়িত্বপালনকারী শিক্ষকদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। অ্যাডমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠান প্রধান সর্বোচ্চ পাঁচটি ইউজার আইডি তৈরি করতে পারবেন। তবে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ছাড়া হস্তান্তর যোগ্য নয়।