প্রাথমিক ও গণিশক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি বলেছন, মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হলে মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে; যা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মেধা-মনন ও শিক্ষার প্রতি অনুরাগ সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে; বিষয়টি উপলদ্ধি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে আসছেন- যা শিক্ষার মানোন্নয়নে মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে মোট ২ কোটি, ১৫ লাখ, ৫১ হাজার, ৬৯১ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৩০ লাখ, ৩৪ হাজার ৩০টি পাঠ্যপুস্তক এবং প্রাক প্রাথমিক স্তরে ৩৩ লাখ ২ হাজার ৭৪০টি আমার বই, এবং ৩৩ লাখ ২ হাজার ৭৪০টি অনুশীলন খাতার বিতরণ করা হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রাক-প্রাথমিক এবং ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির সর্বমোট ২লাখ, ১৯ হাজার, ৩৬৪টি টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। নতুন বই মানেই শিশুদের কাছে এক বিশাল প্রাপ্তি। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শিশুদের বইয়ের প্রতি বিমুগ্ধ করে তোলে। শিক্ষাবর্ষের শুরুর প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বর্তমান সরকারের জনপ্রিয় ও প্রশংসিত কর্মসূচি।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে তাঁর নির্বাচনী এলাকার রৌমারী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মো. মোজাহিদুল ইসলাম, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, রৌমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ প্রমুখ।