আলোকিত ও যুক্তিনির্ভর মানুষ তৈরি করতে হলে সমাজে আদর্শনিষ্ঠ মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করতে চাই। এ কারণে সততায়, নিষ্ঠায় আদর্শবান নাগরিক তৈরির কোন বিকল্প নেই।’
আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর ১৬তম ব্যাচের শিক্ষক প্রশিক্ষণে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা শিক্ষক। সমাজের প্রিভিলেইজড অংশ। আদর্শবান নাগরিক তৈরির মূল চালিকাশক্তি আপনারাই। এদেশে দুনীতির নামে, অপসংস্কৃতির নামে শিক্ষিত মানুষরাই অন্যায়-অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। এজন্যই মানবিক ও নৈতিক গুণাবলি সম্বলিত নাগরিক তৈরি করতে হবে। সবকিছুই ল্যাবে করতে হবে তা নয়। নিজেদের মনজগতেও পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা যদি আলোকিত ও যুক্তিনির্ভর মানুষ তৈরি করতে পারি তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি ও অন্যায় অপসারিত হবে। কারণ একজন যুক্তিনির্ভর মানুষ কখনো অন্যায় করতে পারে না।’
জুম অ্যাপের মাধ্যমে দেশব্যাপী রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পদার্থ বিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের ১৪৩ জন শিক্ষক এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। বিষয়ভিত্তিক এই শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি অনলাইনে গত ১৬ নভেম্বর শুরু হয়। ২৮ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের সমাপনী দিন ছিল আজ ১৩ ডিসেম্বর।
স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সিইডিপির প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. এ. কে. এম. মুখলেছুর রহমান। কোর্স উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক এম সৈয়দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মো. হাছানুর রহমান।