স্ত্রীর অর্নামেন্টস বিক্রি করে প্লেনের টিকেট কেটেছিলেন জনৈক প্রবাসী ভদ্রলোক। যাওয়ার আগে সরকার ডেজিগনেটেড সেন্টারে গিয়ে তিনি টেস্ট করেছেন। রিপোর্ট পজেটিভ।
শারীরিকভাবে তিনি সুস্থ ছিলেন। এজন্যই হয়ত টিকেট কাটার সাহস পেয়েছিলেন। কিন্তু পজেটিভ হওয়ায় ফ্লাই করতে পারেননি। তার টিকেটের টাকা লস গেছে। কোম্পানি থেকে তাকে টার্মিনেট করা হয়েছে।
পজেটিভ রিপোর্ট পেয়ে তার বিশ্বাস হয়নি। ছুটে গেছেন মুগদা মেডিকেলে। আবার টেস্ট করিয়েছেন। রিপোর্ট নেগেটিভ।
আরটিভির ক্যামেরার সামনে নিজের আক্ষেপ ঝাড়লেন ভদ্রলোক। দুইটা সরকারি সেন্টারের কোনটার রিপোর্ট তিনি বিশ্বাস করবেন জানেন না। এটা কোন বাংলাদেশ তিনি জানেন না; হতাশ হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।
এই করোনায় তো কিছুই হয় না!!!
অথচ চিল ফিল আর করোনা ছুটি এনজয়ের ভিড়ে অনেকেরই অনেককিছু হয়েছে। অনেকে একেবারে চলে গেছেন। কেউ কেউ বেঁচে থাকার জন্য কোথাও যেতে চেয়েও যেতে পারছেন না। চোখের সামনে সবকিছু হারাচ্ছেন।
খুব মন খারাপ করার চেষ্টা করলেন ভদ্রলোক।
বললেন, প্লেন তো আমার ঠিকই চলে গেলো। আমার টাকা চলে গেলো। এখন দেশ আমাকে দেখবে? দেখবে না।
কিছু দৃশ্য লজ্জার মত। কিছু কথা শুনে কান্না চলে আসে। অথচ ভদ্রলোক কাঁদলেন না। মাস্ক খুলে কান্না দেখাতে গিয়ে শুধু বললেন, আমার চোখ দিয়ে এখন আর পানি আসে না।