স্বপ্ন ছিলো কম্পিউটার প্রকৌশলী হওয়ার। সে অনুযায়ী কেশব রায় পাপন ভর্তি হয়েছিলেন, রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। এদিকে টানাপোড়নের সংসার। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের প্রয়োজনে কাজ করতেন কুরিয়ার সার্ভিসে।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাতে কাজ শেষে কারওয়ান বাজার হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এরমধ্যেই শিকার হন ছিনতাইকারিদের আক্রমণের। ফোন নিতে বাধা দেয়ায় শিকার হন উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাতের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কেশব।
ঘটনার পরপরই মাঠে নামে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রায় ৭০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সনাক্ত করা হয় ৩ ছিনতাইকারিকে। বুধবার (৬অক্টোবর) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসে আইনের আওতায়।
এদিকে গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টাআন্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সহপাঠী ও শিক্ষকবৃন্দ। এসময় বিচারের পাশাপাশি রাতের রাজধানীতে নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও দাবী জানান বক্তারা।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার এস. এম. নূরুল হুদা বলেন, কারওয়ান বাজারে ছিনতাইকারী চক্রের হামলা-হত্যার ঘটনা নতুন নয়। সুষ্ঠু বিচারের অভাবে পথে-ঘাটে ঝরে যাচ্ছে অনেক সম্ভাবনাময় প্রাণ।
শনিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গ্রীন রোডে বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক সহপাঠী বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্মৃতিকাতর অবস্থায় সহপাঠী হত্যার দ্রুত আর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের এমন কর্মসূচীতে একাত্মতা পোষন করেন ইউনিভার্সিটির অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।