তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন সংবাদপোর্টাল নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বিধানে সহায়ক। বুধবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘অনলাইন নিউজপোর্টাল রেজিস্ট্রেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারণ ইতোমধ্যেই রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত ছাড়া আর কোনো অনলাইন ভবিষ্যতে বের হবে না বা আজকে যে সমস্ত পত্র-পত্রিকা আছে সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্র-পত্রিকা বের হবে না, তেমন নিয়ম কোথাও নেই।’
এবিষয়ে আদালতের আদেশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়ক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং যেমন ইচ্ছা তেমন অসত্য সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটনায় ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে এটি কখনোই সমীচীন নয়, সেক্ষেত্রে আদেশটি অবশ্যই সহায়ক।
আদালতের আদেশের লিখিত কপি পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই কিছু অনলাইন আমরা বন্ধ করবো জানিয়ে ড. হাছান বলেন, একইসাথে এটি যে একটি চলমান প্রক্রিয়া, একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন চলছে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া সবগুলোকে একসাথে বন্ধ করে দেয়া কতটুকু সমীচীন সে ভাবনার বিষয়গুলো আদালতের কাছে উপস্থাপন করবো, বলেন মন্ত্রী।
এর আগে পিস এ- হারমনি সংগঠনের আয়োজনে গৌরব প্রকাশন থেকে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনাকে নিবেদিত একগুচ্ছ কবিতা’র তুর্কি ভাষায় অনুবাদগ্রন্থ ওয়েবিনারে উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র পৃথিবীতে শান্তি ও সৌহার্দ্য স্থাপন করার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে বিশ্ব গণমাধ্যম তাকে মানবতার মা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদের সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান সম্মানিত অতিথি এবং আংকারাস্থ এশিয়া প্যাসিফিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এম নাজমুল ইসলাম, কবি আজিজুর রহমান আজিজ, কবি আনিস মোহাম্মদ এবং ইজফান্দিওর এরিয়ন বিশেষ অতিথি হিসেবে ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন।