কোভিড-১৯ সংক্রমনের উর্ধ্বগতি প্রতিরোধে করণীয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে অনলাইন মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ বা তৃতীয় ঢেউ চলছে। ঢাকা শহরে হাসপাতালগুলোতে ৫ হাজার ৭শত বেড রয়েছে। তবে ঢাকার বাইরের সব হাসপাতাল মিলিয়ে বেড সংখ্যা ১৫ হাজার। বর্তমানে করোনায় সংক্রমনের হার আগের চেয়ে ৬ গুণ বেড়ে গেছে। মৃত্যুর সংখ্যা আগে যা ছিল তার চেয়ে ১০ গুণ বেড়ে গেছে। অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা ৪/৫গুণ বেড়ে গেছে। আমরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে আন্তরিকতায় বন্ধন তৈরি করতে পেরেছি। আমরা ইতোমধ্যে ২১ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি এতে দেশের ৮০ শতাংশ লোক ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে।
যেহেতু আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ভালো দিয়েছি তাই আমাদের জিডিপি গ্রোথ, অর্থনীতি ঠিক আছে। আগস্ট মাসের মধ্যে আমরা প্রায় ২ কোটি ভ্যাকসিন পাবো। আগামী ২৬/ ২৭ জুলাই সিনোফার্ম থেকে ৩০ লক্ষ ভ্যাকসিন আসবে।
আমরা ফ্রন্ট লাইনারদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। তাদের পরিবারবর্গের ১৮ বছরের উর্ধ্বের ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবো। গ্রামে যারা আছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। ভারত থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টন লিকুইড অক্সিজেন আনার ব্যবস্থা করেছি। আজ আমরা আমেরিকা থেকে উপহার হিসেবে ২৫০টি ভ্যান্টিলেটর পাচ্ছি। এছাড়া দেশের ১০০টিরও বেশি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের সুবিধার ব্যবস্থা করেছি। তিনি দেশকে সুরক্ষার কথা বলেন ও দেশের মানুষকে রক্ষা ও দেশের অর্থনীতি রক্ষা করার কথা বলেন। পরিশেষে তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে বেড কমে আসছে। আপনারা যারা মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছেন তাদের কলেজগুলোতে বেড সংখ্যা বাড়াবেন যাতে একজন রোগীও মৃত্যুবরণ না করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক বলেন ৩ কোটি চায়নার টিকা, ৭ কোটি কোভ্যাক্সের টিকা, ১ কোটি রাশিয়ার টিকা, ৩ কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ও ৭ কোটি জনসনের টিকা বলে জানান তিনি।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজ ও হাসপাতালে দায়িত্ব প্রাপ্তদের সাথে মতবিনিময় হয়। দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, তাদের হাসপাতালে কতগুলো বেড ও আইসিইউ আছে এবং আগামী দিনে তাদের হাসপাতালে পরিকল্পনা কী তা মন্ত্রীকে জানান।