ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জলীলপুর ৪নং ওয়ার্ডের মো: কেয়ামত আলী (৭০) ২০০৫ সালে মহেশপুর উপজেলা চত্বরে নিজ অর্থায়নে দশটি আম গাছ রোপন করেন। পরে দুইটি আমগাছ মারা গেলেও এখনও আটটি আম গাছ রয়ে গেছে।
মো: কেয়ামত আলী ২০০৫ সাল থেকে সেটেলমেন্ট অফিসে এ্যাসিস্ট্যান্ট মোহরীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দায়িত্ব পালন কালে ২০০৫ সালে তিনি নিজ উদ্যোগে আম গাছ রোপন করেন। তার এই মহৎ উদ্যোগ সাধারণ মানুষকে আজও প্রশান্তি দিয়ে যাচ্ছে। সব কয়টি গাছের নিচে নিরিবিলি পরিবেশ থাকায় উপজেলায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ রোদে, গরমে গাছের ছায়ায় বসে ক্লান্তি দূর করতে পারছে। প্রতি বছর গাছে প্রচুর পরিমানে আম আসে, যা সাধারণ মানুষ ও পথচারিরাও খেয়ে থাকেন।
৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, কেয়ামত আলী নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়নে মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষ রোপন করেছেন। বৃক্ষ প্রেমিক মো: কেয়ামত আলীর কাছে বৃক্ষ রোপন সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে বৃক্ষ রোপন করতে ভালোবাসি। আমার এই ভালোবাসা থেকেই ২০০৫ সালে উপজেলা চত্বরে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন করি।
তিনি বলেন, এই গাছ আমার জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও এই বৃক্ষ যতদিন বেচে থাকবে আমিও ততদিন মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকবো। বৃক্ষ প্রেমিক মো: কেয়ামত আলীকে উপজেলা প্রশাসানের কেউ স্বরণ না করলেও তাকে স্বরণ করে যাবে গাছের ছায়ায় ক্লান্তি দূর করা হাজারও মানুষ। বিশস্ত সূত্রে জানা গেছে, কেয়ামত আলী শুধু উপজেলা চত্বরেই নয় , মহেশপুরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে নিজ উদ্যোগে নিজ অর্থায়নে বৃক্ষ রোপন করেছেন।