বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৭ আগস্ট সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির গ্রীন রোডের ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ১৫ আগস্টের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির রেজিস্টার এস, এম, নূরুল হুদার সঞ্চলনায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর শামীম আরা হাসান। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বলতে গেলে লিখিত বক্তব্যের প্রয়োজন হয়না। কারণ আমরা একদিকে খুবই ভাগ্যবান ও ভাগ্যবতী, আমরা স্বাধীনতা দেখেছি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। সে সময় কতই না ইমোশনাল ছিল পুরো বাঙালী জাতি। ইমোশনাল বাঙালী জাতির ইমোশনটাকে কুচক্রীমহল ও বিদেশী পরাশক্তি যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল তারা কিভাবে নষ্ট করবে। আসলে নষ্ট করতে পারেনি। কারণ পরবর্তীতে বাঙালী দেখিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছেও। তবে কিছুদিনের জন্য শ্বাসরোধ করে ফেলেছিল কুচক্রীমহল। সেই কুচক্রীমহল যারা স্বাধীনতার বিরোধীদের সাহায্য নিয়েছিল। যারা পাকিস্তানের এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করার কাজে লিপ্ত ছিল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর আল-আমিন মোল্লা, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ, ব্যবসায় অনুষদের ডিন প্রফেসর আবুল কালাম। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম এবং আইন বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো: দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান কামাল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময়ে ৪টি বই রচনা করেছেন। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগে এসব বইয়ের কোনো একটি বই পাঠ্যক্রমের অংশ করা যায় কিনা তা, ভেবে দেখার জন্য ইউনিভার্সিটির উপাচার্যকে (ভারপ্রাপ্ত) অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপরে কবিতা আবৃতি, কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং হাম-নাতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা প্রতিযোগী হিসেবে কবিতা আবৃতিতে ৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন- মামুনূর রশীদ, শাহাদাত হোসেন, ইয়া-নূর ঝুমকি, তানজিদা খানম মিলকী ও মো: মনির হোসেন। কুইজ প্রতিযোগীতায় ১১ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন- ইয়া-নূর ঝুমকি, তানজিদা খানম মিলকী, নুসরাত জাহান বৃষ্টি, মো: মনির হোসেন, মো: আবু সালিম তৌহিদ, মো: মাসুদ রানা, মো: মাহমুদুল হাসান হাবিব, বিথী রানী, মোসা: শিউলী খাতুন, মেহেদী মোহাম্মদ কাফি ও রাকিবুল হাসান রনি। রচনা প্রতিযোগিতায় ৯ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন- ইয়া-নূর ঝুমকি, নুসরাত জাহান বৃষ্টি, তানজিদা খানম মিলকী, মো: মাহমুদুল হাসান হাবিব, তাসনিম আক্তার, মঈনা সনজরী, ফরিদা ইয়াছমিন, বিথী রানী ও মো: মনির হোসেন। হাম-নাত প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী বিভাগে ৩ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন- সুমাইয়া খাতুন, শাহাদাত হোসেন এবং নূর মোহাম্মদ। হাম-নাত প্রতিযোগিতায় শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিভাগে ৩ জনকে নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন- প্রফেসর আল-আমিন মোল্লা, মো: শরীফুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আলী। পরে অনুষ্ঠানে সেরা প্রতিযোগী হিসেবে নির্বাচিতদের সার্টিফিকেট এবং উপহার সামগ্রী দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।