বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার অমিত হাসান ও মাহফিজুল ইসলাম (রবিন) দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) প্রোগ্রামে ভর্তি হন। অমিত হাসান ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের খেলোয়াড় ছিলেন। অমিত ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে শাইনপুকুরের হয়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে অধিনায়কত্ব করা ছাড়াও ব্যাটসম্যান হিসেবে লীগে ২টি সেঞ্চুরিসহ ৪৯৬ রান করেন। এ ছাড়া বিসিএল-২০২৩-এ সাউথ জোনের হয়ে সেঞ্চুরিসহ জাতীয় লীগে ২০২১-২২ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫৭০ রান করেন। মাহফিজুল ইসলাম (রবিন) বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপে অর্ধশতক রান করা ছাড়াও ২০২১ সালে বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে এশিয়া কাপে ১টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০২৩ সালে জাতীয় লীগে ঢাকা মেট্রো এবং প্রিমিয়ার লীগে শাইন পুকুরের হয়ে রবিনের অভিষেক হয়।
এই দুই ক্রিকেটার তাদের মাঠের ক্যারিয়ারের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনের ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে আজ রোববার (১৪ মে) উপস্থিত হন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির গ্রীন রোডের ক্যাম্পাসে। তারা উভয়েই এসইউ’র বিবিএ বিভাগে ভর্তি হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে অমিত বলে, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির বিবিএ বিভাগে ভর্তি হতে পেরে আমার ভালো লাগছে। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি এ দেশের খেলোয়াড়দের পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে এ জন্য সে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়। সেই সাথে সে বলেন, এখানকার কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যেহেতু আমি বিবিএ বিভাগে ভর্তি হয়েছি তাই আমি খেলাধুলার পাশাপাশি এখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে পড়াশোনা শেষ করতে চাই। অপর ক্রিকেটার রবিন ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার জন্য সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলে, এ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে আমি গর্বিত।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে অমিত ও রবিনের ভর্তিতে উচ্ছাস্বিত হয়ে আরেক ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন জসি বলেন, আমি যখন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হই তখন থেকেই আমার টার্গেট ছিল বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ টীম, জাতীয় দল ও প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়াড়রা যাতে এ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শেষ করতে পারে, তাদের জন্য সেই চেষ্টা করে যাওয়া। এ সময় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির হেড অব পিআর নাহিদ হাসান, সিনিয়র এডমিশন এক্সিকিউটিভ মো: রাসেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।