তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আধুনিক শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘ব্র্যাক কুমন’ শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে তিনটি সম্পদ আছে যা বিতরণ করলে ও অন্যের সাথে ভাগাভাগি করলে কমে যায়না বরং বৃদ্ধি পায় এবং তা হলো- ভালোবাসা, সম্মান ও জ্ঞান। তাই গণিত ও ইংরেজির ভীতি দূর করে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে আফটার স্কুল লার্নিং পদ্ধতি আগামী প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় দক্ষ করে তুলবে।
প্রতিমন্ত্রী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নাটোরের সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল এ্যান্ড কলেজে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর ও ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে দেশের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলেতে জাপানি আফটার স্কুল শিক্ষা পদ্ধতি ” ব্র্যাক কুমন “-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ২০৩১ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে কুমন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হবে জানিয়ে বলেন ব্রাক কমন পদ্ধতি, শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ‘লার্নিং ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি উৎসাহিত করবে।
প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে কোমলমতি শিশুকিশোরদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল, জেলা শিক্ষা অফিসার আক্তার হোসেন, নাটোরের সিংড়ার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, মনেরবন্ধু প্রতিষ্ঠাতা তৌহিদ শিরোপা, দমদমা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি অহিদুর রহমান, জাপান থেকে আগত কুমন বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক কৈচি সান জেট্রো বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি উইজি আন্দো প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার ১৬ তম বর্ষে ৬১ দেশে ২৪ হাজার সেন্টার আছে কুমনের।
পরে প্রতিমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে “কুমন জাপানি লার্নিং মেথড”-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।