২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসছে। শিখন ও মূল্যায়নের ধরন বদলে যাবে। বদলে যাচ্ছে পড়ালেখার বর্তমান পদ্ধতি, বদলাবে পাঠ্যসূচি, পাঠ্যবই এমনকি পরীক্ষা পদ্ধতিও। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমবে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পাঠের ভিত্তিতে প্রয়োগমূলক কাজের মধ্য দিয়ে করা হবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। নতুন শিক্ষাক্রমের আঙ্গিকে নতুন পাঠ্যবই লেখা হয়েছে এবং সিলেক্টিভ স্কুলের ক্লাসরুমেও পাইলটিং শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেইভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত, ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও অষ্টম এবং ২০২৫ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যকর হবে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতেও নতুন কারিকুলাম চালু হবে।
কিন্তু যাঁরা শেখাবেন, মূল্যায়ন করবেন, নতুন শিক্ষাক্রম শুরুর আগে সেই শিক্ষকেরা মাত্র এক ঘণ্টার অনলাইন প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। নতুন শিক্ষাক্রম চালুর আগে মাধ্যমিক স্তরের তিন লক্ষাধিক শিক্ষককে এক ঘণ্টা করে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা দরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ডিসেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষককে ৫ দিনের সশরীর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পথরেখা নির্ধারন করেছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে পারেনি। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেন শিক্ষকেরা। তাই তাঁদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি। কিন্তু মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ বাস্তবায়নের কাজটি করছে মাউশি। নতুন শিক্ষাক্রমটি হচ্ছে অভিজ্ঞতাভিত্তিক। এতে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যমান পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি হবে। এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখনকার মতো প্রথাগত পরীক্ষাই থাকবে না। পরবর্তী শ্রেণিগুলোর মূল্যায়নের পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষা ও ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রম দুটিই থাকছে। এখনকার মতো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও হবে না। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এসএসসি পরীক্ষা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে।