স্টেট ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তন গত ৩০ নভেম্বর রূপগঞ্জের কাঞ্চনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তনে ইউনিভার্সিটির ৩টি অনুষদের মোট ১ হাজার ৮২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা ও ফলাফল অর্জনকারী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল কবির, উপ-উপাচার্য ডা. নওজিয়া ইয়াসমীন, রেজিস্ট্রার ড. সাজিদ বিন দোজা, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, তিন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ভবিষ্যতের রূপকল্পের বাংলাদেশ গড়তে হলে ঔপনিবেশিক আমল থেকে চলা মুখস্থনির্ভর পরীক্ষায় উগড়ে দেওয়া শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে আর চলবে না। বরং শিক্ষাকে আনন্দময় করতে হবে। সমস্যা সমাধানে দক্ষতা বাড়াতে হবে। আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে হবে।
অনুষ্ঠানে দীপু মনি এমপি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশন মাস্টার প্লান চূড়ান্তকরণের পর্যায়ে রয়েছে। অবকাঠামোর পাশাপাশি শিক্ষায় প্রযুক্তির মেলবন্ধন করা হচ্ছে।’
দীপু মনি আরও বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরুর সময় অনেকের মনে অনেক অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে শিক্ষার মানের দিক থেকে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষ অর্জন করেছে। স্টেট ইউনিভার্সিটি তেমনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় যা মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বদ্ধ পরিকর।’
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারুণরাই নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কথায় বলতে হয়—আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ‘
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডা. এ এম শামীম বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েটদের বড় মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। পাশাপাশি কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সৎ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আনোয়ারুল কবির বলেন, আমরা একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখে যেমন শিক্ষাব্যবস্থা সাজিয়েছি তেমনি ভুলে যাইনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় চেতনার ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা।’