এ বছর সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ১৬ নভেম্বর থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার চিন্তাভাবনা চলছে। অনলাইনে টেলিটকের মাধ্যমে এ আবেদন নেওয়া হবে।
প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এরমধ্যে প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আর পরের শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনলাইনে ভর্তির এ আবেদন ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রমতে, এ বছর আবেদন ফি ১১০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এক আবেদনে পাঁচটি স্কুল পছন্দ দেওয়া যাবে। আবেদন নেওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সরকারি ও ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলের লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এবার সারা দেশে ২ হাজার ৯৬১টি বেসরকারি স্কুলে আসন রয়েছে ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি। আর ৪০৫টি সরকারি স্কুলে আসন ৮০ হাজার ৯১টি।
মাউশি সূত্র জানায়, সরকারি বিদ্যালয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
আর বেসরকারি বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এছাড়া, আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।