টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজকের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৪.৩ ওভারে তোলে ১০৫ রান। ডিএল নিয়মে ইংল্যান্ডের তখন প্রয়োজন ছিল ১১০ রান। যেহেতু দুই দলই অন্তত ৫ ওভার করে ব্যাট করেছে, তাই নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচে ফল হবে। আর খেলা এরপর আর শুরু করতে না পারায় ডিএলএস নিয়মে ৫ রানের জয় পায় আইরিশরা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পল স্টার্লিং দলীয় ২১ রানে ফিরে গেলেও চাপে পড়েনি আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ড্রু বলবার্নি ও লোরকান টাকারের ৫৭ বলে ৮২ রানের জুটিতে উল্টো চাপ পড়ে ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৯ রান। শেষদিকে আয়ারল্যান্ডের কেউই ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি। তাই বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়েই তাদের থেমে যেতে হয় ১৫৭ রানে। বলবার্নি করেন ৪৭ বলে ৬২ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে উড ও লিভিংস্টোন তিনটি করে উইকেট নেন।
বল হতেও দারুণ শুরু করে আয়ারল্যান্ড। জশ লিটলের বলে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে এজ হয় কিপারের হাত ক্যাচ দেন বাটলার। অ্যালেক্স হেলসকেও ফেরান লিটল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা বেন স্টোকসও দলকে উদ্ধার করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬ রানে ফিওনা হ্যান্ডের বলে বোল্ড হন স্টোকস। এরপর ইংল্যান্ডের রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন হ্যারি ব্রুক ও ডেভিড মালান। প্রথম ১০ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৩ উইকেটে ৬৩ রান। ইংল্যান্ডের শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান। তখন ক্রিজে ছিলেন মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে ওই সময়ই বাধ সাধে বৃষ্টি। ১৪ ওভার তিন বলে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ১০৫ রান। তবে ডাকওয়ার্ড লুইস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১০ রান। তাই প্রকৃতির কাছে হার মেনে বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারতে হয়।