রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গ্রিন রোডে অবস্থিত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন ডিভিশন এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল আয়োজিত দুই দিনব্যাপী Workshop On Uses of E-resources and Online surfing Techniques শীর্ষক কর্মশালা গতকাল (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়।
সিনিয়র লাইব্রেরি অফিসার মো: মাসউদ মিয়ার কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল বাশার। ওয়ার্কশপের প্রথম দিন গতকাল (১৬ অক্টোবর) সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির সব বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রশাসনিক প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্কশপের দ্বিতীয় দিনে আজ (১৭ অক্টোবর) সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির গ্রিন রোডের ক্যাম্পাসের সব বিভাগের প্রভাষকরা উপস্থিত থাকবেন।
ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এসইউ’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা হাসান, ট্রেজারার প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ, রেজিস্ট্রার এস. এম নূরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার ছিলেন এসইউ’র লাইব্রেরিয়ান মো: ফজলুল কাদের চৌধুরী।
ওয়ার্কশপের প্রধান অতিথি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল বাশার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য লাইব্রেরির গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে লাইব্রেরিগুলো ধীরে ধীরে বইয়ের পরিবর্তে ই-লার্নিং সিস্টেমে চলে যাচ্ছে। সেই সাথে সবকিছু ডিজিলাইটেশনে চলে যাচ্ছে। আমরা সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি এ ধরনের ওয়ার্কশপ আরও করার জন্য লাইব্রেরিয়ানকে পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসইউ’র উপ-উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা হাসান অত্যন্ত সময়োপযোগী এ ধরনের ওয়ার্কশপ আয়োজন করার জন্য লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন ডিভিশন এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, ইউনিভার্সিটিতে লাইব্রেরির কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে অনেক ধরনের তথ্য মোবাইলে সার্চ দিয়ে পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু স্পেশাল কোনো বিষয় বা তথ্য বা থিসিস পেপার বা জার্নালের দরকার হলে তখন প্রয়োজন হয় লাইব্রেরির।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা এ ধরনের ওয়ার্কশপের আয়োজন করার জন্য এসইউ’র লাইব্রেরিয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিভার্সিটির কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ বলেন, লাইব্রেরিকে বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য যা করার দরকার তা আমাদের করতে হবে। লাইব্রেরির বই সংরক্ষণের জন্য আগের পদ্ধতি এখন আর নেই। তাই লাইব্রেরির বই আদান প্রদান যদি অনলাইনে করা যায় তাহলে খুব ভালো হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসইউ’র রেজিস্ট্রার এস. এম নূরুল হুদা বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীকে যদি আমরা আলমিরা মনে করি তাহলে এর সব তথ্য জানার জন্য আমাদের লাইব্রেরি সাপোর্ট দরকার।
পরে কী-নোট স্পিকার এসইউ’র লাইব্রেরিয়ান মো: ফজলুল কাদের চৌধুরী স্লাইডের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে ওয়ার্কশপের বিস্তারিত তুলে ধরেন।