বাংলাদেশের মেয়েরা নান্দনিক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে উপহার দিয়েছে মনভরানো খেলা। মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের সীমানায় ত্রাস ছড়ালেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমারা।
পাকিস্তানকে ৬ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা। বাকি তিন গোল এসেছে মনিকা, সিরাজ জাহান স্বপ্না ও ঋতুপর্ণা চাকমার পা ছুঁয়ে।
এ জয়ের সঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
এরইসঙ্গে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে ভারতকে টপকে গেল বাংলাদেশ। এর আগে মালদ্বীপকে হারায় সাবিনার দল।
আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত জিতলে পাকিস্তান ও মালদ্বীপের ম্যাচটি হবে শুধু নিয়মরক্ষার আর বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচটি হবে গ্রুপ সেরা নির্ধারণের।
শনিবার নেপালের কাঠমুন্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
খেলার শুরুতেই লিড নেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় মিনিটে থ্রোয়িং থেকে বল নিয়ে দুজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে সাবিনার শট পাকিস্তানি ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দিলে ফাঁকায় দাঁড়ানো মনিকা বল পেয়ে যান। ডান কোনা ধরে তার নেওয়া নিখুঁত শট জালে জড়িয়ে যায়।
২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সিরাত জাহান স্বপ্না। সাবিনার কাছ থেকে বলের যোগান পেয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ নৈপুণ্যে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
তিন মিনিট পরই নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোল পান সাবিনা। ডান দিক থেকে আসা ক্রস দেখে বুদ্ধিদীপ্তভাবে বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এই গোলের রেশ না কাটতেই পাকিস্তানকে হতাশায় পুড়িয়ে হালি পূরণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৩৪ মিনিটে বা দিকে আঁখির কাছ থেকে আসা ক্রস ধরে বক্সের দিকে ছুটে যান সানজিদা খাতুন। তার ক্রস পেয়ে জালে জড়িয়ে আনন্দে ভাসেন সাবিনা।
৪-০ গোলের স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পরও পাকিস্তানের উপর আধিপত্য বিস্তার করে সাবিনার দল। ৫৮ মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সাবিনা।
ডানদিকে থ্রোয়িং থেকে বল পেয়ে বক্সে ক্রস করেন সানজিদা। দারুণ সেই বলের ফ্লাইট বুঝে লাফিয়ে জালে জড়ান সাবিনা।
৫ গোলেও মন ভরেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। ৭৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
বক্সের অনেক বাইরে থেকে দুরন্ত এক শটে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। গোল শোধের বদলে শেষ দিকেও একাধিকবার গোল বাঁচাতেই ব্যস্ত দেখা যায় পাকিস্তানকে।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ৬-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।