এই তো কিছুদিন আগে মঁপেলিয়েরের বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে বেশ লেগেছিল নেইমার-এমবাপ্পের। পরে এ নিয়ে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হলেও বিষয়টি আর বেশি দূর গড়ায়নি।
লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার—তিন মহাতারকা খেলছেন ফরাসি ক্লাবটিতে। তাঁদের মধ্যে নেইমার ও এমবাপ্পেকে নিয়ে প্রায়ই গুঞ্জন শোনা যায়, দুজনের মধ্যে লেগে গেছে! কথায় আছে, এক বনে দুই বাঘ থাকে না। পিএসজিকে দেখলে কথাটা ভুল মনে হতে পারে।
ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এবার নিজেই মুখ খুলেছেন এমবাপ্পে। জানিয়েছেন, নেইমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময় ভালো না হলেও ব্রাজিলিয়ান তারকার প্রতি ‘অনেক সম্মানবোধ’ রয়েছে তাঁর।
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে আজ রাতে মাঠে নামছে পিএসজি। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে জুভেন্টাসের মুখোমুখি হবে ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের দল।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে নেইমারের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন এমবাপ্পে, ‘নেইমারের সঙ্গে এ নিয়ে ষষ্ঠ বছর চলছে। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক সব সময় এমনই ছিল, সেটি পারস্পরিক সম্মানবোধের ওপর ভিত্তি করে। কখনো উত্তপ্ত, আবার কখনো শীতল সম্পর্কের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। কখনো আমাদের দেখে সেরা বন্ধু মনে হয়েছে, আবার কখনো আমাদের মধ্যে তেমন একটা কথাও হয়নি। এটাই আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য।’
নেইমারের প্রতি সম্মানবোধের কথাও জানিয়েছেন এমবাপ্পে, ‘তবে অনেক সম্মানবোধ আছে। দলে তার যে গুরুত্ব, সে যে মাপের খেলোয়াড়—এসব মিলিয়ে তাকে আমি অনেক সম্মান করি। শক্তিশালী চরিত্রের দুজন খেলোয়াড় দলে থাকলে একটু এদিক-সেদিক তো হবেই। কখনো কখনো এমন হলেও পিএসজির স্বার্থই দেখা হয় সবার আগে।’
গত ১৪ আগস্ট মঁপেলিয়েরের বিপক্ষে পিএসজির ৫-২ গোলে জয়ের ম্যাচে পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে মাঠেই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন নেইমার ও এমবাপ্পে। সে ম্যাচে এমবাপ্পে একটি পেনাল্টি মিস করেন। পরের পেনাল্টিটি নেইমার নিতে গেলে বাদ সাধেন এমবাপ্পে। পেনাল্টিটি তিনি নিতে চান কিন্তু নেইমার তা হতে দেননি। স্পটকিকটি নিয়ে গোল করেন নেইমার। এরপর আবারও পুরোনো প্রসঙ্গ উঠে আসে—নেইমার ও এমবাপ্পের মধ্যে ঝামেলা চলছে!
চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ জুভেন্টাসের বিপক্ষে পেনাল্টি পেলে স্পটকিক নেবেন কে? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নেরও উত্তর দেন পিএসজি তারকা এমবাপ্পে, ‘দেখা যাক। সব সময় তো কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ম্যাচেই বোঝা যাবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী, নেইমার নিতে চাইলে নেবে, আমি (শট) নেওয়ার মতো অবস্থায় থাকলে নেব। তবে ১ নম্বর খেলোয়াড় হওয়ার অর্থ এই নয় যে সব পেনাল্টি সে-ই নেবে। এমন ধারা কোনো ক্লাবে আছে বলে মনে হয় না। এবার চিন্তা করে দেখুন, এক ক্লাবে যদি এমন তিনজন খেলোয়াড় থাকে তাহলে! আসলে কেকটা (পেনাল্টি) কীভাবে ভাগ করবেন, সেটা জানতে হয়। দেখা যাক, আগামীকাল কী হয়। তবে এসব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।’