চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের জেরে সংক্ষিপ্ত হচ্ছে এ শিক্ষাবর্ষ। এ পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল এবং শীতকালীন ছুটি বাড়ানোর ফলে বিদ্যমান কর্মদিবসের সঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম কীভাবে সমন্বয় করা হবে, তার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন ও অন্যান্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করা হবে। এর জেরে বাতিল হয় গ্রীষ্মের ছুটি। এ পরিস্থিতিতে নভেম্বর পর্যন্ত বাকি কর্মদিবসে ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের পরের নতুন শিক্ষাক্রমের শিখন অভিজ্ঞতাগুলো সম্পন্ন করতে শিক্ষকদের জন্য বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। গত ২৪ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশ করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, চলমান নতুন শিক্ষাক্রমের কার্যক্রম বিদ্যমান কর্মদিবসের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হলো।
৬টি নির্দেশনা হলো- ১. নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী সব বিষয়ের জন্য নির্ধারিত সব শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শিখন অভিজ্ঞতা কোনোভাবেই অসম্পূর্ণ রাখা যাবে না।
২. ১০ নভেম্বরের মধ্যে সব শিখন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করে ১১ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
৩. বিদ্যমান কর্মদিবসের মধ্যে কীভাবে ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের পরবর্তী শিখন অভিজ্ঞতাগুলো সম্পন্ন করা যেতে পারে, সে সম্পর্কিত একটি বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, যা সব শিক্ষককে অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। (এনসিটিবি থেকে প্রাপ্ত বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনা বা গাইডলাইন ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে)।
৪. নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করে সব প্রতিষ্ঠানে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. গাইডলাইন অনুসরণসংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যেতে পারে।
৬. এ নির্দেশনা শুধু ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। আগামী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক সহায়িকা অনুসরণ করে যথানিয়মে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।