উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় প্রাণ-আরএফএলসহ দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান। প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপের সাথে ইউজিসি’র নলেজ শেয়ারিং ও প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। ইউজিসি’র ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ই-গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনোভেশন ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শুদ্ধাচার কাজে উদ্বুদ্ধকরণে দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের গৃহীত কার্যক্রম পরিদর্শনের আওতায় গত ২০ জুন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি পরিচালক ড. জাফর আহমেদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত পরিচালক জিয়াউর রহমান ও শাহীন সিরাজসহ ২৭ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল, প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-এর জেনারেল ম্যানেজার উইং কমাণ্ডার (অবঃ) মো. সিদ্দিকুর রহমান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মাকসুদ জোয়ার্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ফেরদৌস জামান বলেন, দেশে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপসহ প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত। এছাড়া, তিনি দেশের প্রয়োজনের নিরিখে এসব কোম্পানিগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গবেষণায় অর্থায়ন করার আহ্বান জানান।
তিনি প্রাণ আরএফএল গ্ৰুপকে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ একটি এনডাউমেন্ট ফাণ্ড গঠনের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও বেকারত্ব লাঘবে প্রাণ আরএফএলসহ দেশীয় কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ এসব শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করতে পারে। এর মাধ্যমে তারা কর্মসংস্থানে প্রবেশের আগে শিল্প প্রতিষ্ঠানে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোলাবোরেশন রয়েছে। এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কিভাবে আরও জোরদার করা যায় তা নিয়ে ইউজিসি’র সাথে তিনি আগামীতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্ৰহণ অব্যাহত রাখবে এই শিল্পগোষ্ঠী। প্রাণ-আরএফএল গ্ৰুপ যাতে বিশ্বব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্ৰহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।