অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ সম্প্রতি তার দেশ সফর করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বস’ হিসেবে উল্লেখ করে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরেন। কিন্তু ওই সময়েই ভারতের ছয়টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ছাত্রদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। অভিযোগ, ভারত থেকে আসা ছাত্রদের ভিসার আবেদনে বেশির ভাগ সময়ে জালিয়াতি ধরা পড়ছে। গত ৩১ মে এক আলাপচারিতায় বিষয়টিকে ‘দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়’ বলেই জানিয়েছেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত ব্যারি ও’ফারেল। তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি ‘অসাধু বেসরকারি ভিসা এজেন্টদের’ কাজ। এই প্রসঙ্গে ছাত্রদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে ব্যারি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদি নয়।
ভিক্টোরিয়ার ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি ও নিউ সাউথ ওয়েলসের ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি-র অভিযোগ, অনেক ছাত্র জাল ভিসা নিয়ে আবেদন করছেন। এই চক্র কোথা থেকে, কোন পদ্ধতিতে কাজ করছে, তার একটি নির্দিষ্ট নকশা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তাই গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড ও কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের ছাত্রদের ভিসায় আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বিশেষ কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। দু’দেশের মধ্যে রয়েছে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও। এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো বলে দাবি করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতাই। তাই বিষয়টির সমাধান যে দ্রুতই হবে সেই ইঙ্গিত দিয়ে ব্যারি বলেন, ‘কিছু দালাল ছাত্রদের অসুবিধায় ফেলছে। তারা নিয়ম কানুন মেনে কাজ করছে না। এটা ছাত্রদের কাছেও নড়েচড়ে বসার সতর্কবার্তা। এসব দালালের উপর নির্ভর না করে, তাদের নিজেদের সব মিলিয়ে দেখে নেওয়া উচিত। তা হলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’ তবে নিষেধাজ্ঞা কবে উঠবে, তা স্পষ্ট করেননি রাষ্ট্রদূত।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা