ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকানা পেতে গত ২৮ এপ্রিল ছিল চূড়ান্ত দরপ্রস্তাবের শেষ সময়। এর মধ্যে তৃতীয় দফায় দরপ্রস্তাব করেছেন কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও ব্যাংকার শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি এবং ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার জিম র্যাটক্লিফ। তবে এক্ষেত্রে র্যাটক্লিফের প্রস্তাবিত মূল্য জানা না গেলেও, আলোচনা চলছে শেখ জসিমের প্রস্তাব নিয়ে। কারণ তৃতীয় দফায় তিনি ৫০০ কোটি পাউন্ডের (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৬,৬০৮ কোটি ৪৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা) কিছু বেশি দর হেঁকেছেন।
সংবাদসংস্থা এএফপি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, শেখ জসিম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শতভাগ মালিকানা পেতে চান এবং দলবদলের বাজারে টাকা ঢালার পাশাপাশি ক্লাবের অবকাঠামো পাল্টানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অনুশীলনকেন্দ্র ঠিক করার পাশাপাশি ওল্ড ট্রাফোর্ড সংস্কার কিংবা নতুন একটি স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে শেখ জসিমের দরপ্রস্তাবে। এছাড়া শেখ জসিম ইউনাইটেডের ৬২ কোটি ডলার দেনা মোচনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
তৃতীয়বারের মতো এই দরপ্রস্তাব হাঁকার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই দৌড়ে দুজনের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি কেনার জন্য চূড়ান্ত দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছেন শেখ জসিম বিন হামাদ আল থানি এবং ইউনাইটেডের পাড় ভক্ত জিম র্যাটক্লিফ। তবে এর আগে কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের হাঁকানো দামের চেয়েও বেশি প্রস্তাব করেছিল গ্লেজার পরিবার। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউনাইটেডকে গ্লেজার পরিবার বিক্রি করলে তা খেলাধুলায় কোনো ক্লাব বিক্রিতে সর্বোচ্চ খরচের রেকর্ড ভেঙে দেবে। এতে শেখ জসিম কিংবা র্যাটক্লিফের দরপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে গ্লেজার পরিবার। কেননা আগ্রহী দুজনের প্রস্তাবই গ্লেজারের চেয়ে কম মূল্যের।
এএফপি জানিয়েছে, শেখ জসিমের মতো র্যাটক্লিফ ইউনাইটেডের শতভাগ মালিকানা চান না। ৫০ ভাগের কিছু বেশি মালিকানার জন্য দরপ্রস্তাব হেঁকেছেন র্যাটক্লিফ, যাতে ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেন। র্যাটক্লিফ যে দরপ্রস্তাব দিয়েছেন, সে অনুযায়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নির্বাহী কো-চেয়ারম্যান জোয়েল ও আভ্রাম গ্লেজারের ভাগে ক্লাবের ২০ শতাংশ করে শেয়ার থেকে যায়।