পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ (বুধবার) থেকে শুরু হয়েছে পাহাড়ের আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-বৈসু-সাংগ্রাই-বিষু-বিহু-চাংক্রান-এর আনুষ্ঠানিকতা। যদিও ইতোমধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ে পাহাড়ে ছেয়ে গেছে উৎসবের রঙ। গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় শুরু হয়েছে নানা ধরণের ঐতিহ্যবাহী খেলাসহ চলছে সাংস্কৃতিক আয়োজনও। খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা আদিবাসীদের চলছে গড়ায়া নৃত্যের আনন্দ ছন্দ। মারমা আদিবাসীদের চলছে সাংগ্রাই এ জলকেলির প্রস্তুতি। এদিকে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু ও চাক্রান উৎসব উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটির মারী স্টেডিয়ামে চলছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। গত ১১ এপ্রিল উৎসবের আয়োজনে ছিল পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা ও গেংহুলী।
আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) সকালে পাহাড়ের আদিবাসীরা রাঙামাটি শহরের রাজবন বিহার ঘাটে ফুল ভাসানোর আয়োজন করে। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলার গ্রামে গ্রামে পাহাড়ী ছড়া ও নদীতে ভাসানো হয় ফুল বিজুর পবিত্র ফুল। ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে তিন দিন ব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছে। চাকমা আদিবাসীরা নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে এই উৎসবের আয়োজন শুরু করে। আগামীকাল পাজনসহ অন্যান্য খাবার দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। তৃতীয় দিন বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পূজা-অর্চনা হবে। সম্প্রদায়ভেদে পাঁচ দিন কিংবা এক সপ্তাহ ধরে চলবে এ উৎসব।