প্রতিবছর ২০ মার্চ সুখ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৩। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নের্টওয়ার্কের তত্ত্বাবধানে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ১৩৭টি দেশের মধ্যে টানা ষষ্ঠবারের মতো শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড।
এবার দেখে নেয়া যাক কিসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এই তালিকা? তাতে দেখা যায়, জিডিপি পার ক্যাপিটা, সামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, কম দুর্নীতি, উদারতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে তৈরি হয় এই তালিকা। আগের বছরগুলির ধারাবাহিকতায় এবারও প্রথম দিকে রয়েছে নর্ডিক দেশগুলি। ফিনল্যান্ডের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। আইসল্যান্ড রয়েছে তৃতীয় স্থানে। সেরা ১০টি সুখী দেশের মধ্যে বাকি দেশগুলো হলো- ইসরায়েল (৪) নেদারল্যান্ডস (৫), সুইডেন (৬), নরওয়ে (৭), সুইজারল্যান্ড (৮), লুক্সেমবার্গ (৯) ও নিউজিল্যান্ড (১০)।
এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর (২৫)। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরব আমিরাত (২৬), তাইওয়ান (২৭), সৌদি আরব (৩০), বাহরাইন (৪২), জাপান (৪৭), মালয়েশিয়া (৫৫), দক্ষিণ কোরিয়া (৫৭), থাইল্যান্ড (৬০), মালদ্বীপ (৬৩), চীন (৬৪) ও ফিলিপাইন (৭৬)। অন্যদিকে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮তম। ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সুখী দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান ১২৬, পাকিস্থান ১০৮, শ্রীলঙ্কা ১১২ এবং মিয়ানমারের অবস্থান ১১৭। ১৩৭ দেশের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র দেশ নেপাল (৭৮) রয়েছে সুখী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০০ দেশের মধ্যে।
অন্যদিকে এবারের সুখী দেশের তালিকায় তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্থান (১৩৭)। তলানির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে লেবানন (১৩৬)। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিয়েরা লিওন (১৩৫), জিম্বাবুয়ে (১৩৪) এবং কঙ্গো (১৩৩)। অন্যদিকে অসুখী দেশের তালিকার দিক থেকে আফগানিস্থানসহ (১) উপরের দেশগুলো শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তবে যুদ্ধরত ইউক্রেন-রাশিয়া সুখী দেশের তালিকায় এখনো শীর্ষ ১০০ দেশের তালিকায় রয়েছে। রাশিয়া ৭০ ও ইউক্রেনের অবস্থান ৯২।