বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা শুধু উচ্চশিক্ষার সুযোগকে বিস্তৃত করে না, ভবিষ্যতের কর্মবাজারেও তা দারুণ কার্যকর। যাঁরা ভবিষ্যতে শুধু শিক্ষক বা গবেষক হতে চান, তাঁদের জন্যই শুধু গবেষণা নয়, গবেষণা আসলে উচ্চশিক্ষার একটি অংশ। গত ৫ মার্চ রাজধানীর গ্রীনরোডে অবস্থিত সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে সেন্টার ফর রিচার্স, ট্রেনিং অ্যান্ড কনসালটেন্সি (সিআরটিসি) আয়োজিত রিসার্চ মেথডলজি কোর্সের সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন।
সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা হাসান, প্রাক্তন ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসনের প্রফেসর মো: আল-আমিন মোল্লা, ব্যবসায় অনুষদের ডিন প্রফেসর আবুল কালাম, রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা ও আইকিউআইসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী শাহাদত কবীর । অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ছিলেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন ও সিআরটিসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ। অনুষ্ঠানে মডারেটর হিসেবে ছিলেন ছাত্র কল্যাণ বিভাগের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আবুল বাশার বলেন, উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা করাও অন্যতম পূর্বশর্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবল শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ভাণ্ডার নয়; বরং জ্ঞানচর্চা করা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করার কেন্দ্র। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার মধ্য দিয়ে নতুন জ্ঞান বিকাশের পথ তৈরি করতে হবে।
সভাপতি প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ রিসার্চ মেথডলজি কোর্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ নেয়া বাঞ্ছনীয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রত্যাশী তাদের জন্য এটা বেশি দরকার।
উল্লেখ্য, রিসার্চ মেথডলজি কোর্সটিতে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের ৫৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২০ জনকে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।